ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্ণিমা উৎসবে রঙিন ফানুসে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বার্তা

Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৭ Time View

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ফানুস উড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ

কক্সবাজারের রামুতে অসংখ্য ফানুসে আলোকিত হয়ে ওঠে অন্ধকার আকাশ। সন্ধ্যা থেকে রঙিন ফানুসগুলো আলো ছড়াতে ছড়াতে উড়ছিল আকাশে। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রামুসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ফানুস উড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন।

সবচেয়ে বড় আয়োজন হয় রামুর কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে। আজ সন্ধ্যায় বিহার প্রাঙ্গণে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ণিমা উৎসব। রঙিন ফানুস ওড়ানোর সময় আকাশজুড়ে ভেসে ওঠে শান্তি, ভালোবাসা ও মানবতার বার্তা, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’।

রঙিন ফানুস ওড়ানোর সময় আকাশজুড়ে ভেসে ওঠে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বার্তা

রামু সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ ও কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ মহাথের বলেন, ‘প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের জন্য গভীর তাৎপর্যের দিন। আষাঢ়ের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাসের বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুরা এই দিনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নতুন প্রতিজ্ঞায় ব্রতী হন। এটি সংযম ও পরিশুদ্ধতার উৎসব।প্রজ্ঞানন্দ মহাথের আরও বলেন, ‘ফানুস ওড়ানো প্রবারণার অন্যতম অনুষঙ্গ। বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী, ফানুসের আলো অন্ধকার দূর করে শান্তি, কল্যাণ ও আলোকিত জীবনের প্রতীক। সবাই একসঙ্গে আকাশে ফানুস উড়িয়ে নিজের ও বিশ্বের মঙ্গলের প্রার্থনা করেন।’

ফানুসে রামু সীমা মহাবিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরের প্রতিকৃতিও স্থান পায় সীমা মহাবিহার থেকে ওড়ানো কয়েকটি ফানুসে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা ছিল। কিছু ফানুসে রামু সীমা মহাবিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরের প্রতিকৃতিও স্থান পায়।রামুর ঐতিহাসিক রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার, রামু মৈত্রী বৌদ্ধবিহার, কক্সবাজার শহরের অগ্গ্যমেধা বৌদ্ধবিহারসহ টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া ও সদর উপজেলার অন্তত ৩০টি বৌদ্ধবিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপিত হয়। সকাল থেকেই এসব বিহারে বুদ্ধপূজা, অষ্টশীল গ্রহণ, মহাসংঘদান ও ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ মুখর পরিবেশে ফানুস উড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মঙ্গলবার দুপুরে রামুর বাঁকখালী নদীতে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী ‘কল্পজাহাজ’ ভাসানোর উৎসব।
রামুর সুনীল বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা মানে শান্তি, সহমর্মিতা ও মানবতার জয়গান। পৃথিবীর সব যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অন্যায়ের অবসান হোক—এই কামনায় ফানুসে লেখা হয়েছে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পূর্ণিমা উৎসবে রঙিন ফানুসে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বার্তা

Reporter Name
Update Time : ১২:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারের রামুতে অসংখ্য ফানুসে আলোকিত হয়ে ওঠে অন্ধকার আকাশ। সন্ধ্যা থেকে রঙিন ফানুসগুলো আলো ছড়াতে ছড়াতে উড়ছিল আকাশে। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রামুসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ফানুস উড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন।

সবচেয়ে বড় আয়োজন হয় রামুর কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে। আজ সন্ধ্যায় বিহার প্রাঙ্গণে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ণিমা উৎসব। রঙিন ফানুস ওড়ানোর সময় আকাশজুড়ে ভেসে ওঠে শান্তি, ভালোবাসা ও মানবতার বার্তা, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’।

রঙিন ফানুস ওড়ানোর সময় আকাশজুড়ে ভেসে ওঠে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বার্তা

রামু সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ ও কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ মহাথের বলেন, ‘প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের জন্য গভীর তাৎপর্যের দিন। আষাঢ়ের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাসের বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুরা এই দিনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নতুন প্রতিজ্ঞায় ব্রতী হন। এটি সংযম ও পরিশুদ্ধতার উৎসব।প্রজ্ঞানন্দ মহাথের আরও বলেন, ‘ফানুস ওড়ানো প্রবারণার অন্যতম অনুষঙ্গ। বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী, ফানুসের আলো অন্ধকার দূর করে শান্তি, কল্যাণ ও আলোকিত জীবনের প্রতীক। সবাই একসঙ্গে আকাশে ফানুস উড়িয়ে নিজের ও বিশ্বের মঙ্গলের প্রার্থনা করেন।’

ফানুসে রামু সীমা মহাবিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরের প্রতিকৃতিও স্থান পায় সীমা মহাবিহার থেকে ওড়ানো কয়েকটি ফানুসে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা ছিল। কিছু ফানুসে রামু সীমা মহাবিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরের প্রতিকৃতিও স্থান পায়।রামুর ঐতিহাসিক রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার, রামু মৈত্রী বৌদ্ধবিহার, কক্সবাজার শহরের অগ্গ্যমেধা বৌদ্ধবিহারসহ টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া ও সদর উপজেলার অন্তত ৩০টি বৌদ্ধবিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপিত হয়। সকাল থেকেই এসব বিহারে বুদ্ধপূজা, অষ্টশীল গ্রহণ, মহাসংঘদান ও ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ মুখর পরিবেশে ফানুস উড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মঙ্গলবার দুপুরে রামুর বাঁকখালী নদীতে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী ‘কল্পজাহাজ’ ভাসানোর উৎসব।
রামুর সুনীল বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা মানে শান্তি, সহমর্মিতা ও মানবতার জয়গান। পৃথিবীর সব যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অন্যায়ের অবসান হোক—এই কামনায় ফানুসে লেখা হয়েছে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’।