নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে : সারজিস আলম

- Update Time : ১০:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩৬ Time View
নির্বাচন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তারা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।
এ জন্য যদি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হয়, আমরা তা করব। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।’
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড় শের-ই-বাংলা পার্কে বিভিন্ন এলাকার মসজিদ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘যে ধরনের মার্কা মানুষের হাসির খোরাক জোগায়, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের মার্কার তালিকায় কিভাবে থাকে? এটা তো তাদেরও রুচিবোধের প্রকাশ।
এই জায়গাটা তাদের ঠিক করা উচিত। আমাদের কেন বলে দিতে হবে। একটা নির্বাচন কমিশনের মার্কায় মুলা, বেগুন, খাট, থালাবাটি থাকতে পারে না। দেশে কি মার্কার অভাব পড়েছে? আমরা আশা করছি, এটা তারা সংশোধন করবে।
তিনি বলেন, ‘আইনগত কোনো বাধা না থাকায় আমরা শাপলা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা সব শেষ তাদের সাদা শাপলা, লাল শাপলার অপশন দিয়েছিলাম। যদি একান্তই শাপলার সঙ্গে যদি কিছু অ্যাড করতে হয়, তাহলেও আমাদের দ্বিমত থাকবে না।’
সারজিস আরো বলেন, ‘ভারত মহানন্দা নদীর উজানে তাদের স্লুইস গেটের ৯টি ভোরবেলায় হঠাৎ করে খুলে দেওয়ায় বাংলাবান্ধায় একটি গ্রাম ঝুঁকিতে পড়েছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে।
আমরা ভারতকে বলতে চাই, তারা যদি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হতে চায়, তাহলে তাদের আচরণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো হতে হবে। তারা মন চাইলে নদীতে স্লুইস গেট দিল, মন চাইলে আটকে রাখল আর মন চাইলে ছেড়ে দিল। এমন কাজ করলে বাংলাদেশে অ্যান্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট দিন দিন আরো প্রকট হবে। এটি দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কের জন্য পজিটিভ কোনো বার্তা দেবে না।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এমন অনেক নদী আছে তাদের উৎপত্তি স্থল ভারতে নয়, নেপালে বা চায়নায়। তারা যদি এমনটি করে তাহলে ভারতকেও সমস্যায় পড়তে হবে। সব দিন কিন্তু ভারতের দিন নয়। দিন বাংলাদেশেরও আসবে এবং অন্য দেশগুলোরও আসবে। আমরা তাদের কাছে সমতার বা ভ্রাতৃত্বের আচরণ প্রত্যাশা করি। এর পাশাপাশি বলতে চাই, যত দিন তারা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে যে সেন্টিমেন্ট তারা প্রত্যাশা করে; তা কখনোই পাবে না।’
সারজিস জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার ১২০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এনসিপির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ আনা হয়েছে। পরে গণ-অভ্যুত্থানসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য মোনাজাত করা হয়। এ সময় এনসিপি পঞ্চগড় সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক নয়ন তানবীরুল বারীসহ এনসিপি ও জাতীয় যুব শক্তির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়