ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্বশুরের লালসার শিকার গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী সোহান আটক

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৪৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬২ Time View

রংপুরে শ্বশুর কর্তৃক ছেলের বউকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির পর গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী সোহানকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর স্বামী সোহানকে পঞ্চগড় সদর থানার মিলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম তোফায়েল আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলন ও মামলা সুত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন বছর পূর্বে বদরগঞ্জ থানার নাটারাম এলাকার মেনাজুল হকের মেয়ে মিতু আক্তার (২২) এর সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার বালাপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে সোহান মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে ১০ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সংসার জীবনে ছেলের বউ মিতুর আক্তারের উপর শশুর রাজা মিয়ার কুনজর পরে। বাড়িতে একা পেলেই শশুর রাজা মিয়া ছেলের বউ মিতু আক্তারকে যৌন নিপীরনসহ ধর্ষণ করতো।

শশুরের লালসার শিকার ভুক্তভোগি মিতু তার স্বামী সোহানসহ পরিবারের অন্যদের জানালেও তারা কোন প্রতিকার করেনি উল্টো ওই ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকী প্রদান করে। ভুক্তভোগি মিতু আক্তার অতিষ্ট হয়ে শশুরের যৌন হয়রানীর ঘটনা গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। সেই ভিডিও তার ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপরেই বিষয়টি জানাজানি হলে গৃহবধু মিতুর উপর নির্যাতন বেড়ে যায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে ভুক্তভোগির পরিবারকে মোবাইল ফোনে জানায় মিতু গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পরিবারের লোকজন এসে দেখে লাশ খাটলিতে রাখা হয়েছে এবং গলায় ফাঁস দেওয়ার কোন চিহ্ন নাই। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহত গৃহবধুর পরিবার। ঘটনার পর থেকেই নিহত মিতু আক্তারের শশুর, শাশুড়িসহ স্বামী পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত মিতুর পিতা মেনাজুল হক গত ১ অক্টোবর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে রংপুরে শশুর কর্তৃক যৌন লালসার শিকার গৃহবধূ হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন- সড়ক অবরোধ করে নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী। এরপরেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নিহত ওই গৃহবধুর স্বামী সোহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম তোফায়েল আহমেদ বলেন, গ্রেফতার সোহানকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে। সেই সাথে অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শ্বশুরের লালসার শিকার গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী সোহান আটক

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৪৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

রংপুরে শ্বশুর কর্তৃক ছেলের বউকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির পর গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী সোহানকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর স্বামী সোহানকে পঞ্চগড় সদর থানার মিলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম তোফায়েল আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলন ও মামলা সুত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন বছর পূর্বে বদরগঞ্জ থানার নাটারাম এলাকার মেনাজুল হকের মেয়ে মিতু আক্তার (২২) এর সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার বালাপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে সোহান মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে ১০ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সংসার জীবনে ছেলের বউ মিতুর আক্তারের উপর শশুর রাজা মিয়ার কুনজর পরে। বাড়িতে একা পেলেই শশুর রাজা মিয়া ছেলের বউ মিতু আক্তারকে যৌন নিপীরনসহ ধর্ষণ করতো।

শশুরের লালসার শিকার ভুক্তভোগি মিতু তার স্বামী সোহানসহ পরিবারের অন্যদের জানালেও তারা কোন প্রতিকার করেনি উল্টো ওই ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকী প্রদান করে। ভুক্তভোগি মিতু আক্তার অতিষ্ট হয়ে শশুরের যৌন হয়রানীর ঘটনা গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। সেই ভিডিও তার ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপরেই বিষয়টি জানাজানি হলে গৃহবধু মিতুর উপর নির্যাতন বেড়ে যায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে ভুক্তভোগির পরিবারকে মোবাইল ফোনে জানায় মিতু গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পরিবারের লোকজন এসে দেখে লাশ খাটলিতে রাখা হয়েছে এবং গলায় ফাঁস দেওয়ার কোন চিহ্ন নাই। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহত গৃহবধুর পরিবার। ঘটনার পর থেকেই নিহত মিতু আক্তারের শশুর, শাশুড়িসহ স্বামী পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত মিতুর পিতা মেনাজুল হক গত ১ অক্টোবর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে রংপুরে শশুর কর্তৃক যৌন লালসার শিকার গৃহবধূ হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন- সড়ক অবরোধ করে নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী। এরপরেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নিহত ওই গৃহবধুর স্বামী সোহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম তোফায়েল আহমেদ বলেন, গ্রেফতার সোহানকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে। সেই সাথে অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।