ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ১১:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১১৯ Time View

শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে নিগার সুলতানার দল। মাত্র ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ১১৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। নাহিদা-রাবেয়াদের ঘূর্ণিতে দেড়শ রানও করতে পারেনি তারা। বোলারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছেন টাইগ্রেস ব্যাটাররা। বিশেষ করে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। তরুণ এই ওপেনারের দুর্দান্ত ফিফটিতে ১১৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাট হাতে ম্যাচের নায়িকা ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার রুবাইয়া হায়দার। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধীরস্থির ব্যাটিং করে অপরাজিত ৫৪ রান করেছেন তিনি। ৭৭ বলে তার এই ইনিংসে ছিলো ৮টি চার। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি (২৩) এবং তরুণ ব্যাটার সোবহানা মোস্তারী (২৪) রুবিয়ার দারুণ সঙ্গী হয়েছেন। বিশেষ করে নিগারের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

এর আগে পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানার টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভয়াবহভাবে ব্যুমেরাং হয়।

কলম্বোতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন রামিন শামিম।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই পাকিস্তান হারায় দুই উইকেট। বাংলাদেশি তরুণ পেসার মারুফা আক্তার একে একে সাজঘরে ফেরান সিদরা আমিন ও ওমাইমা সোহেলকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন স্পিনার স্বর্ণা আক্তার, যিনি মাত্র ৩.৩ ওভারে ৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। পাশাপাশি মারুফা ও নাহিদা নেন ২টি করে উইকেট। রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন ও নিশিতা আক্তার নেন একটি করে উইকেট। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৩৮.৩ ওভারে ১২৯ রানে।

পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান আসে রামিন শামিমের ব্যাট থেকে (২৩)। তবে দলকে সম্মানজনক স্কোরে তুলতে শেষ দিকে ডায়ানা বেগের ১৬ রানের ছোট্ট ইনিংসই ছিলো ভরসা।

জবাবে ৩১ ওভার এক বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো দলীয় সমন্বয়—বোলারদের দারুণ শুরুর পর ব্যাটারদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সে সহজ জয়। এই জয় শুধু বিশ্বকাপ মিশন শুরুর ক্ষেত্রে নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্যও আত্মবিশ্বাস যোগাবে নিগার সুলতানাদের।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফারজানা হক। ১৭ বল খেলে ২ রান করেছেন তিনি। তার বিদায়ে ৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে ব্যর্থ শারমিন আক্তার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন ঝিলিক। ২৩ রান করে জ্যোতি বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি।

বাকি কাজটা সুবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে সহজেই সেরেছেন ঝিলিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে অভিষেকেই করেছেন ফিফটি। সেটাও আবার বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে। সবমিলিয়ে ৭৭ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া ১৯ বলে অপরাজিত ২৪ রান এসেছে মুস্তারির ব্যাট থেকে।

এর আগে বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন মারুফা। ডানহাতি এই পেসারের সুইং আর গতিতে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ডাবল স্ট্রাইক করেন মারুফা। পঞ্চম বলে ওমাইমা সোহেলকে বোল্ড করেন। পরের বলেই ফর্মে থাকা সিধরা আমিনের স্টাম্প ভাঙেন এই পেসার। দুই ব্যাটারই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ২ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুনিবা আলি ও রামিন শামিম। বড় হতে থাকা এই জুটি ভেঙেছেন নাহিদা আক্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে ১৭ রান করেছেন মুনিবা।শামিমকেও ফিরিয়েছেন নাহিদা। এই বাঁহাতি স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৯ বলে ২৩ রান করেছেন শামিম। দলীয় ফিফটির আগেই ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের বিপদে আরো বাড়িয়েছেন সিধরা নাওয়াজ।

২০ বলে ১৫ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন রাবেয়া। এরপর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফাতিমা সানা-নাটালিয়া পারভেজরা উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফাতিমা ৩৩ বলে ২২ রান করেছেন। শেষদিকে ডায়ানা ২২ বলে অপরাজিত ১৬ রান করলেও দেড়শর আগেই অল আউট হয় তারা। বাংলাদেশের হয়ে ৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার স্বর্ণা। এ ছাড়া মারুফা ও নাহিদা দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নিশিতা নিশি, রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১২৯ (৩৮.৩ ওভারে); রামিন শামিম ২৩, ফাতিমা সানা ২২; শর্না আক্তার ৩-৫, মারুফা আক্তার ২-২২

বাংলাদেশ ১৩৩/৩ (৩১.১ ওভারে); রুবিয়া হায়দার ৫৪*, সোবহানা মোস্তারী ২৪; ফাতিমা সানা ১-২২

২০২৫ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ,বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল,পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল

স্পোর্টস ডেস্ক

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
Update Time : ১১:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে নিগার সুলতানার দল। মাত্র ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ১১৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। নাহিদা-রাবেয়াদের ঘূর্ণিতে দেড়শ রানও করতে পারেনি তারা। বোলারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছেন টাইগ্রেস ব্যাটাররা। বিশেষ করে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। তরুণ এই ওপেনারের দুর্দান্ত ফিফটিতে ১১৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাট হাতে ম্যাচের নায়িকা ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার রুবাইয়া হায়দার। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধীরস্থির ব্যাটিং করে অপরাজিত ৫৪ রান করেছেন তিনি। ৭৭ বলে তার এই ইনিংসে ছিলো ৮টি চার। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি (২৩) এবং তরুণ ব্যাটার সোবহানা মোস্তারী (২৪) রুবিয়ার দারুণ সঙ্গী হয়েছেন। বিশেষ করে নিগারের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

এর আগে পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানার টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভয়াবহভাবে ব্যুমেরাং হয়।

কলম্বোতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন রামিন শামিম।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই পাকিস্তান হারায় দুই উইকেট। বাংলাদেশি তরুণ পেসার মারুফা আক্তার একে একে সাজঘরে ফেরান সিদরা আমিন ও ওমাইমা সোহেলকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন স্পিনার স্বর্ণা আক্তার, যিনি মাত্র ৩.৩ ওভারে ৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। পাশাপাশি মারুফা ও নাহিদা নেন ২টি করে উইকেট। রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন ও নিশিতা আক্তার নেন একটি করে উইকেট। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৩৮.৩ ওভারে ১২৯ রানে।

পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান আসে রামিন শামিমের ব্যাট থেকে (২৩)। তবে দলকে সম্মানজনক স্কোরে তুলতে শেষ দিকে ডায়ানা বেগের ১৬ রানের ছোট্ট ইনিংসই ছিলো ভরসা।

জবাবে ৩১ ওভার এক বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো দলীয় সমন্বয়—বোলারদের দারুণ শুরুর পর ব্যাটারদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সে সহজ জয়। এই জয় শুধু বিশ্বকাপ মিশন শুরুর ক্ষেত্রে নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্যও আত্মবিশ্বাস যোগাবে নিগার সুলতানাদের।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফারজানা হক। ১৭ বল খেলে ২ রান করেছেন তিনি। তার বিদায়ে ৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে ব্যর্থ শারমিন আক্তার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন ঝিলিক। ২৩ রান করে জ্যোতি বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি।

বাকি কাজটা সুবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে সহজেই সেরেছেন ঝিলিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে অভিষেকেই করেছেন ফিফটি। সেটাও আবার বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে। সবমিলিয়ে ৭৭ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া ১৯ বলে অপরাজিত ২৪ রান এসেছে মুস্তারির ব্যাট থেকে।

এর আগে বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন মারুফা। ডানহাতি এই পেসারের সুইং আর গতিতে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ডাবল স্ট্রাইক করেন মারুফা। পঞ্চম বলে ওমাইমা সোহেলকে বোল্ড করেন। পরের বলেই ফর্মে থাকা সিধরা আমিনের স্টাম্প ভাঙেন এই পেসার। দুই ব্যাটারই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ২ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুনিবা আলি ও রামিন শামিম। বড় হতে থাকা এই জুটি ভেঙেছেন নাহিদা আক্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে ১৭ রান করেছেন মুনিবা।শামিমকেও ফিরিয়েছেন নাহিদা। এই বাঁহাতি স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৯ বলে ২৩ রান করেছেন শামিম। দলীয় ফিফটির আগেই ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের বিপদে আরো বাড়িয়েছেন সিধরা নাওয়াজ।

২০ বলে ১৫ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন রাবেয়া। এরপর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফাতিমা সানা-নাটালিয়া পারভেজরা উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফাতিমা ৩৩ বলে ২২ রান করেছেন। শেষদিকে ডায়ানা ২২ বলে অপরাজিত ১৬ রান করলেও দেড়শর আগেই অল আউট হয় তারা। বাংলাদেশের হয়ে ৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার স্বর্ণা। এ ছাড়া মারুফা ও নাহিদা দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নিশিতা নিশি, রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১২৯ (৩৮.৩ ওভারে); রামিন শামিম ২৩, ফাতিমা সানা ২২; শর্না আক্তার ৩-৫, মারুফা আক্তার ২-২২

বাংলাদেশ ১৩৩/৩ (৩১.১ ওভারে); রুবিয়া হায়দার ৫৪*, সোবহানা মোস্তারী ২৪; ফাতিমা সানা ১-২২

২০২৫ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ,বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল,পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল

স্পোর্টস ডেস্ক