হাজি সেলিমের বাড়ি থেকে ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ

- Update Time : ০৯:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৮৭৫ Time View
রাজধানীর আজিমপুর দায়রা শরীফ আবাসিক এলাকায় হাজি সেলিমের ‘মদিনা ডেভেলপার’ কোম্পানির নির্মিত একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। এ সময় অভিযানে ৬টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গুলশান আরা মাসুদা টাওয়ার নামে ভবনটির ১২তলায় এ অভিযান শুরু হয়। ভবনটির বেসমেন্টে একটি গোপন কক্ষে ৩টি বিলাসবহুল গাড়িসহ ৬টি গাড়ি পাওয়া যায়।
উদ্ধার হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে— দুটি বিএমডব্লিউ, যার একটি সাদা ও অন্যটি লাল রঙের। এ ছাড়া একটি কালো রঙের নিশান পেট্রোল, একটি সাদা প্রোটন প্রাইভেটকার, একটি সাদা টয়োটা আইএসটি এবং একটি লাল রঙের টয়োটা রাশ জিপ গাড়ি।
অভিযানের সময় গাড়িগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র ভবনের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার দেখাতে পারেননি। এমনকি কেন আলাদা রুমে টিনশেড দিয়ে গাড়িগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, সে বিষয়েও তিনি কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন।
জানা গেছে, জব্দ হওয়া বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের সাদা গাড়িটি হাজি সেলিমের। একটি তার ডেভেলপার কোম্পানি মদিনার ট্রেডিং করপোরেশনের নামে। বাকি একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং দুই ব্যক্তির নামে।
যৌথবাহিনী সূত্রে জানা যায়, জব্দ হওয়া গাড়িগুলোর কাগজপত্র ও চাবি এখনো পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবনের ম্যানেজারকে সেনা ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে ভবন থেকে কাউকে বের হতে দেওয়া হয়নি, তবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভাড়াটিয়াদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবে যৌথ বাহিনী।
এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল খান বলেন, দুপুর থেকে সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। তারা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। তবে সেখানে পুলিশের সদস্যরা নেই। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিততে যৌথ বাহিনীর সদস্যরাই অভিযান পরিচালনা করছেন।
যৌথ বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা এ অভিযান চালান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া এসব বিলাসবহুল গাড়ি সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতা হাজী সেলিম ব্যবহার করতেন। তবে গাড়িগুলোর প্রকৃত মালিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অভিযান শেষে গাড়িগুলো জব্দ করা হয় এবং ভবনের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজিমপুর আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।