ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসরাইলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেবো না: ট্রাম্প শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে খারিজ শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ে চেন্নাইয়ে থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদপিষ্ট হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে : তারেক রহমান বাদামতলীতে ঢাকা ৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি’র গণসংযোগ দোলনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ঢাকা ৭ আসনের মানুষের খাদেম হতে চাই – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান টঙ্গীর কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক

পলাশে আমন ধান ক্ষেত পরিচর্যাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা

বোরহান মেহেদী, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি 
  • Update Time : ১১:২৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৪১ Time View

চলতি মৌসুমে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আমনের চাড়া রোপণের কাজ শেষ গেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁরা এখন আমন ধানের ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কেউ ধান গাছের আগাছা পরিস্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। ধানের  চারার সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠেছে আমন ধানের খেত। খড়ার পর বৃষ্টি হওয়ায় খেত পরিচর্যার কাজ বেড়ে গেছে।

এই বর্ষা মৌসুমের আমন চাষের সময়টা ধরা হয় আষাঢ় শ্রাবণ ভাদ্র মাস। এবার বেশ বৃষ্টির নাগাল পাওয়ায় মাঠে ধানচারা সুন্দর পুষ্টভাবে গজিয়ে বড় হচ্ছে। এতে কৃষকদের মনে বাম্পার ফলনের আশা। তারা আশা করছেন গত মৌসুমের চেয়ে এবার তাদের আমন চাষের লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর পলাশ উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৭৫ মেট্রিকটন। গত বছরের তুলনায় এ বছর এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে কৃষি অধিদফতর। উপজেলার চরসিন্দুর ও গজারিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ধানের চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে ব্রি-৪৯ জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে।

গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের বিস্তৃত মাঠজুড়ে ধান ক্ষেত। অধিকাংশ জমির ধান গোছা মোটা ও সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠেছে। ইছাখালী গ্রামের কৃষক নাসির উল্লাহ্ জানান, এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন তিনি। গত বছরের তুলনায় এ বছর তার জমিতে ফলনও ভাল হবে। ইতিমধ্যে সে ক্ষেতে পরিমান মতো স্যার ও পোকা দমনের কিটনাশক ছিটিয়ে দিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, কৃষকরা জমিতে সময় উপযোগি ওষুধ প্রয়োগ করায় এ বছর ধানে তেমন কোনো পোঁকার আক্রমণ দেখা যায়নি। গত বছরের তুলনায় বিঘা প্রতি এক থেকে দুই মণ বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

পলাশে আমন ধান ক্ষেত পরিচর্যাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা

বোরহান মেহেদী, পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি 
Update Time : ১১:২৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি মৌসুমে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আমনের চাড়া রোপণের কাজ শেষ গেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁরা এখন আমন ধানের ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কেউ ধান গাছের আগাছা পরিস্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। ধানের  চারার সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠেছে আমন ধানের খেত। খড়ার পর বৃষ্টি হওয়ায় খেত পরিচর্যার কাজ বেড়ে গেছে।

এই বর্ষা মৌসুমের আমন চাষের সময়টা ধরা হয় আষাঢ় শ্রাবণ ভাদ্র মাস। এবার বেশ বৃষ্টির নাগাল পাওয়ায় মাঠে ধানচারা সুন্দর পুষ্টভাবে গজিয়ে বড় হচ্ছে। এতে কৃষকদের মনে বাম্পার ফলনের আশা। তারা আশা করছেন গত মৌসুমের চেয়ে এবার তাদের আমন চাষের লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর পলাশ উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৭৫ মেট্রিকটন। গত বছরের তুলনায় এ বছর এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে কৃষি অধিদফতর। উপজেলার চরসিন্দুর ও গজারিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ধানের চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে ব্রি-৪৯ জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে।

গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের বিস্তৃত মাঠজুড়ে ধান ক্ষেত। অধিকাংশ জমির ধান গোছা মোটা ও সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠেছে। ইছাখালী গ্রামের কৃষক নাসির উল্লাহ্ জানান, এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন তিনি। গত বছরের তুলনায় এ বছর তার জমিতে ফলনও ভাল হবে। ইতিমধ্যে সে ক্ষেতে পরিমান মতো স্যার ও পোকা দমনের কিটনাশক ছিটিয়ে দিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, কৃষকরা জমিতে সময় উপযোগি ওষুধ প্রয়োগ করায় এ বছর ধানে তেমন কোনো পোঁকার আক্রমণ দেখা যায়নি। গত বছরের তুলনায় বিঘা প্রতি এক থেকে দুই মণ বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন।