ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামিমকে ধমকের কারণ জানালেন মোনামি

ক্যাম্পাস ডেস্ক
  • Update Time : ১১:০২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২২০ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন তানভীর বারী হামিম। নির্বাচনে তিনি ৫ হাজার ২৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন।

তবে ভোটের ফল ঘোষণার পরও আলোচনায় থাকেন হামিম। ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসময় হামিম এই শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বলেন।

সেসময় মোনামি হামিমকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘তুমি জানো আমি কে-আমি আজকে বললে কালকে পদত্যাগ করতে পারি।’ হামিম পাল্টা বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী?’

এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ঘটনার সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে ‘ফেস দ্য পিপল’ ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছিলেন তানভীর বারী হামিম ও শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামি।

হামিমকে ধমকের বিষয়ে তিনি তখন বলেন, “আমি হামিমকে চিনি। এজন্য আমি তাকে বকা দিয়ে বলেছিলাম ‘হামিম, তুমি কিন্তু জানো আমি আনবায়াসড (পক্ষপাতী না)। আর হামিম আমাকে এই কথাগুলো বলছিল, এটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না।”

শিক্ষকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ছাত্রদলের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ম্যাম তখন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আমি তার সঙ্গে প্রশাসক হিসেবে কথা বলেছি, শিক্ষক হিসেবে নয়। তবু তিনি আমার শিক্ষক। আমি ছাত্র হিসেবে উত্তেজিত হয়ে এভাবে কথা বলাটা উচিত হয়নি। সেজন্য আমি নিজেই সব সময়ের জন্য সরি ফিল করেছি। এভাবে কথা বলাটা আমার ঠিক হয়নি, সবশেষে তিনি আমার শিক্ষক।’

ঘটনাটি শুধুামাত্র একটি বিষয়ের প্রতিক্রিয়া নয় বলেও জানান হামিম। তার ভাষ্য, নির্বাচনের দিন সকাল থেকে একাধিক অনিয়ম ও আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। সেসব বিষয়ে সামগ্রিকভাবে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। মোনামি ম্যামের বিরুদ্ধে এককভাবে কোনো পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়নি।

তানভীর বারী হামিম বলেন, ‘আমি তখন ম্যাডামের সঙ্গে প্রতিবাদ করেছি তিনি আমার শিক্ষক সেই হিসেবে নয়। আমি প্রতিবাদ করেছি তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। ম্যামের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক। কিন্তু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে যেভাবে প্রতিবাদ করা উচিত আমি সেভাবে করেছি। আমার প্রতিবাদের ভাষা ঠিক ছিল কিন্তু সেখানে উত্তেজিত হয়ে বলেছি। এজন্য আমি নিজে নিজেই সবসময় কিন্তু সরি ফিল করেছি, আসলে এভাবে করাটা ঠিক হয়নি। কারণ সবকিছুর আগে তিনি আমার শিক্ষক।’

এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক মোনামিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তি করা হচ্ছে। তাকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে হামিম বলেন, ‘সবার সামনে বলতে চাই, ম্যাম আপনাকে নিয়ে যারা আজেবাজে কথা লিখেছে তাদের কারো যদি সাংগঠনিক কোনো পরিচয় আছে—এমন প্রমাণ থাকে আমার কাছে দেন। আমি তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।’

Please Share This Post in Your Social Media

হামিমকে ধমকের কারণ জানালেন মোনামি

ক্যাম্পাস ডেস্ক
Update Time : ১১:০২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন তানভীর বারী হামিম। নির্বাচনে তিনি ৫ হাজার ২৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন।

তবে ভোটের ফল ঘোষণার পরও আলোচনায় থাকেন হামিম। ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসময় হামিম এই শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বলেন।

সেসময় মোনামি হামিমকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘তুমি জানো আমি কে-আমি আজকে বললে কালকে পদত্যাগ করতে পারি।’ হামিম পাল্টা বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী?’

এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ঘটনার সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে ‘ফেস দ্য পিপল’ ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছিলেন তানভীর বারী হামিম ও শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামি।

হামিমকে ধমকের বিষয়ে তিনি তখন বলেন, “আমি হামিমকে চিনি। এজন্য আমি তাকে বকা দিয়ে বলেছিলাম ‘হামিম, তুমি কিন্তু জানো আমি আনবায়াসড (পক্ষপাতী না)। আর হামিম আমাকে এই কথাগুলো বলছিল, এটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না।”

শিক্ষকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ছাত্রদলের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ম্যাম তখন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আমি তার সঙ্গে প্রশাসক হিসেবে কথা বলেছি, শিক্ষক হিসেবে নয়। তবু তিনি আমার শিক্ষক। আমি ছাত্র হিসেবে উত্তেজিত হয়ে এভাবে কথা বলাটা উচিত হয়নি। সেজন্য আমি নিজেই সব সময়ের জন্য সরি ফিল করেছি। এভাবে কথা বলাটা আমার ঠিক হয়নি, সবশেষে তিনি আমার শিক্ষক।’

ঘটনাটি শুধুামাত্র একটি বিষয়ের প্রতিক্রিয়া নয় বলেও জানান হামিম। তার ভাষ্য, নির্বাচনের দিন সকাল থেকে একাধিক অনিয়ম ও আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। সেসব বিষয়ে সামগ্রিকভাবে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। মোনামি ম্যামের বিরুদ্ধে এককভাবে কোনো পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়নি।

তানভীর বারী হামিম বলেন, ‘আমি তখন ম্যাডামের সঙ্গে প্রতিবাদ করেছি তিনি আমার শিক্ষক সেই হিসেবে নয়। আমি প্রতিবাদ করেছি তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। ম্যামের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক। কিন্তু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে যেভাবে প্রতিবাদ করা উচিত আমি সেভাবে করেছি। আমার প্রতিবাদের ভাষা ঠিক ছিল কিন্তু সেখানে উত্তেজিত হয়ে বলেছি। এজন্য আমি নিজে নিজেই সবসময় কিন্তু সরি ফিল করেছি, আসলে এভাবে করাটা ঠিক হয়নি। কারণ সবকিছুর আগে তিনি আমার শিক্ষক।’

এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক মোনামিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তি করা হচ্ছে। তাকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে হামিম বলেন, ‘সবার সামনে বলতে চাই, ম্যাম আপনাকে নিয়ে যারা আজেবাজে কথা লিখেছে তাদের কারো যদি সাংগঠনিক কোনো পরিচয় আছে—এমন প্রমাণ থাকে আমার কাছে দেন। আমি তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।’