ফেক আইডি ইস্যুতে আলোচনায় মানবজমিনের সাংবাদিক
- Update Time : ১২:১৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩০১ Time View
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবজমিন পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেইক আইডি চালানো ও ফেইক আইডি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফেসবুকের ‘ফাইন্ড ইউর একাউন্ট’ অপশনে কামরুল হাসানের ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার দিয়ে সার্চ করলে সেই নাম্বারে ‘Afnan Raj’ নামক একটি একাউন্ট পাওয়া যায়। এই একই একাউন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে বিভিন্ন সময়ে নানা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হতো।
এছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে মন্তব্য করা হতো সেই আইডি থেকে।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে এমন একটি মন্তব্যের স্ক্রিনশট। সেখানে ‘Afnan Raj’ নামের সেই আইডি থেকে লেখা হয়েছিল ‘ সাংবাদিকরা সব শিবির। আপনারা অধিকাংশ বাম।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজানি হলে সেই ফেসবুক একাউন্টটি ডিএক্টিভেট করে দেয়া হয়। এছাড়া সেই ফোন নাম্বারটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাদ কবির বলেন, “ফেইক পেইজ ও ফেইক আইডির বিষয়ে প্রশাসনিক জায়গা থেকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যদি কোনো ব্যক্তির ফেইক আইডির প্রমাণ পাওয়া যায় এবং শাস্তির আওতায় আনা হয় তাহলে বাকীরাও সাবধান হয়ে যাবে। আর শিক্ষার্থীদের জায়গা থেকে কোনো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার আগে তা যাতে জাস্টিফাই করে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। আমাদেরও নিয়মিত এসব ফেইক আইডি বা বট আইডির মোকাবেলা করতে হয়। কারণ অনেকে রিয়েল আইডি দিয়ে মিথ্যা প্রচার না করে ফেইক আইডি দিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে। এজন্য অবশ্যই সবাইকে সত্য তথ্য ভালোভাবে জাস্টিফাই করে তারপর তা প্রচার করতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসাইনও এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে প্রায় সময় ফেসবুকে নানা জায়গায়, কমেন্টে বুলিং করা হয়। কিছুদিন আগে এই আফনান রাজ আইডির এমন একটি কমেন্ট আমার চোখে পড়ে। আমাকে ‘চা ওয়ালা প্রক্টর’ বলে খারাপ মন্তব্য করেছিল। একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি এমন এমন হীন কাজ করতে পারেনা। প্রশাসনের উচিত এসব ফেইক আইডির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
ফেইক আইডির বিষয়ে কামরুল হাসান বলেন, ” আমার অন্য একটির ফোনের নাম্বার দিয়ে এই একাউন্টটা খোলা ছিল। ওই ফোনটা রুমেই থাকতো। ওই ফেইক আইডিটা আমার না।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, “এর আগেও আমরা দুইবার নোটিশ দিয়েছিলাম যাতে ফেইক আইডির বিষয়ে ইনফরমেশন পাওয়া যায়। ফেইক আইডির বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব৷ কারণ, ফেইক আইডি দিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।”
ফেইক আইডি ছাড়াও কামরুলের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অভি সাব্বিরের সাথে তার দলীয় কর্মসূচির কিছু ছবির প্রমাণ মিলেছে। সেই সময়ে সাংবাদিকতার পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাথে সখ্যতা রাখতো বলে জানা গেছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়










































































































































