ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রথমবারের আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে দায় নেবেন ড. ইউনূস: ফখরুল ওসমানী বিমানবন্দরে ইঞ্জিনে বোর্ডিং ব্রিজের ধাক্কা শাহবাগ-আগারগাঁও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ শরিয়তপুরের জেলা জজের বক্তব্য ঠিক নয় : রেজিস্ট্রার জেনারেল বাকৃবিতে নারী হয়ে নিজের সহপাঠীর অপ্রীতিকর ছবি সিনিয়র ভাইকে পাঠানোর অভিযোগ ‘লগি-বৈঠার তাণ্ডবের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’ তিন বিচারপতিকে শোকজের তথ্য সত্য নয়: সুপ্রিম কোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জেলা কারাগার পরিদর্শন গণপূর্তে একটি অনিয়ম ঢাকতে আরেকটি অনিয়ম

টঙ্গীর খেয়াঘাটে বাড়তি ভাড়া, দুর্ভোগে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী

মোঃ হানিফ হোসেন, টঙ্গী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:০৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৯৪৯ Time View

গাজীপুরের টঙ্গীর খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ এই খেয়াঘাট দিয়ে নদী পারাপার হলেও ইজারাদার ও নৌকার শ্রমিকরা নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না। স্থানীয়রা জানান, আগে খেয়াঘাটে ৪০-৫০টি ডিঙ্গি নৌকা চলাচল করত। সেসময় ভাড়া ছিল তিন থেকে পাঁচ টাকা। তবে বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এটি বাৎসরিক ইজারা দিয়েছে। ইজারার শর্ত অনুযায়ী পারাপারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় দুই টাকা। কিন্তু কয়েকদিন কার্যকর থাকার পর এখন যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নিয়মিত যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন আমাকে চার-পাঁচবার খেয়া পার হতে হয়। দুই মাস আগে শুনেছি ভাড়া দুই টাকা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি নিচ্ছে। এতে আমরা ভীষণ ভোগান্তিতে পড়েছি।
অভিযোগ রয়েছে, নৌকার অবস্থা নাজুক হওয়ায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন। অনেক সময় একটি মাত্র নৌকাই খেয়াঘাটে পাওয়া যায়। তখন ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ভিড়ের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। স্থানীয় মোকলেছুর রহমান বলেন, নৌকার শ্রমিকরা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এতে অনেকে বিব্রত অবস্থায় পড়েন। খেয়াঘাটে কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা রাজু ও টিপু সরকার জানান, আমরা শুধু চাকরি করি। ইজারাদারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকা আদায় করা হয়। এর বাইরে কিছু বলার নেই। তাদের দাবি, প্রতি যাত্রী থেকে আদায়কৃত ১০ টাকার মধ্যে ৫ টাকা ইজারাদারের কাছে জমা দিতে হয় এবং বাকি ৫ টাকা নৌকা পরিচালনার খরচ হিসেবে রাখা হয়।
যাত্রী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ভাড়া বাস্তবায়নে নজরদারি করছে না। এর ফলে যাত্রীদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীর খেয়াঘাটে বাড়তি ভাড়া, দুর্ভোগে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী

মোঃ হানিফ হোসেন, টঙ্গী প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:০৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীর খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ এই খেয়াঘাট দিয়ে নদী পারাপার হলেও ইজারাদার ও নৌকার শ্রমিকরা নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না। স্থানীয়রা জানান, আগে খেয়াঘাটে ৪০-৫০টি ডিঙ্গি নৌকা চলাচল করত। সেসময় ভাড়া ছিল তিন থেকে পাঁচ টাকা। তবে বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এটি বাৎসরিক ইজারা দিয়েছে। ইজারার শর্ত অনুযায়ী পারাপারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় দুই টাকা। কিন্তু কয়েকদিন কার্যকর থাকার পর এখন যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নিয়মিত যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন আমাকে চার-পাঁচবার খেয়া পার হতে হয়। দুই মাস আগে শুনেছি ভাড়া দুই টাকা করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি নিচ্ছে। এতে আমরা ভীষণ ভোগান্তিতে পড়েছি।
অভিযোগ রয়েছে, নৌকার অবস্থা নাজুক হওয়ায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন। অনেক সময় একটি মাত্র নৌকাই খেয়াঘাটে পাওয়া যায়। তখন ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ভিড়ের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। স্থানীয় মোকলেছুর রহমান বলেন, নৌকার শ্রমিকরা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এতে অনেকে বিব্রত অবস্থায় পড়েন। খেয়াঘাটে কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা রাজু ও টিপু সরকার জানান, আমরা শুধু চাকরি করি। ইজারাদারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকা আদায় করা হয়। এর বাইরে কিছু বলার নেই। তাদের দাবি, প্রতি যাত্রী থেকে আদায়কৃত ১০ টাকার মধ্যে ৫ টাকা ইজারাদারের কাছে জমা দিতে হয় এবং বাকি ৫ টাকা নৌকা পরিচালনার খরচ হিসেবে রাখা হয়।
যাত্রী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ভাড়া বাস্তবায়নে নজরদারি করছে না। এর ফলে যাত্রীদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন।