ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

তারেক রহমান, বাবরসহ সব আসামি আপিলেও খালাস

আইন-আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৪৩৭ Time View

ছবিঃ সংগৃহীত

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাসের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের কিছু অংশ সংশোধন করে পর্যবেক্ষণসহ এ রায় প্রদান করা হয়।

তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আদালতে বাবর ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মাকসুদ উল্লাহ, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। গত একুশে আগস্ট উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ১ ডিসেম্বর সব আসামিকে খালায় দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনলিপি প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দাখিল করে। পরে ১ জুন লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।

২০০৪ সালের একুশে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।

২০১৮ সালে ঢাকার বিচারিক আদালতে দুটি মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের পর মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। হাইকোর্টে নিষ্পত্তির পর এখন সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তি হলো।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের মামলায় জড়ানো হয়

Please Share This Post in Your Social Media

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

তারেক রহমান, বাবরসহ সব আসামি আপিলেও খালাস

আইন-আদালত ডেস্ক
Update Time : ০২:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাসের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের কিছু অংশ সংশোধন করে পর্যবেক্ষণসহ এ রায় প্রদান করা হয়।

তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সহায়তা করবে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আদালতে বাবর ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মাকসুদ উল্লাহ, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। গত একুশে আগস্ট উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ১ ডিসেম্বর সব আসামিকে খালায় দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনলিপি প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দাখিল করে। পরে ১ জুন লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।

২০০৪ সালের একুশে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।

২০১৮ সালে ঢাকার বিচারিক আদালতে দুটি মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের পর মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। হাইকোর্টে নিষ্পত্তির পর এখন সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তি হলো।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের মামলায় জড়ানো হয়