ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
চব্বিশের বিজয়ীদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ : কাদের সিদ্দিকী এবার যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিআরইউ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ দেশের তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করার প্রস্তাব অনুমোদন ভিক্ষুক বেশে অভিনব কৌশলে চুরি, ১০ লক্ষাধিক টাকার চোরাই মালামালসহ আটক লভ্যাংশ দেবে না ইসলামী ব্যাংক যারা নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে তারা নিশ্চিহ্ন হবে: ফখরুল উপদেষ্টা হতে চিকিৎসকের ২০০ কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের অভিযান প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে দুর্নীতি

ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৪ Time View

ফাইল ফটো

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন— সেতু বিভাগের সাবেক সচিব ও নির্বাহী পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) কবির আহমদ এবং সাবেক পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এ প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় তিনটি কাজ— পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং একটি ট্যাগ বোট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ উপেক্ষা করেই এসব কাজ প্রকল্পে যুক্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে নেগোসিয়েশন কমিটির নেগোসিয়েশন মূল্য উপেক্ষা করে এবং নিজেদের নিয়োজিত বিদেশি বিশেষজ্ঞের সুপারিশবিহীন অতিগুরুত্বপূর্ণ নয় এমন তিনটি কাজ পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং একটি ট্যাগ বোর্ড অন্তর্ভুক্তি করে সরকারের ৫৯.৮০ মিলিয়ন ডলার বা ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে পিপিএ ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট বিধান লঙ্ঘন করে ৫৫ লাখ ২১ হাজার ১৮৬ টাকা ব্যয়ে পরামর্শক নিয়োগ করেও সরকারের ক্ষতিসাধন করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা হয়েছে।

নেগোসিয়েশন কমিটি মূল্যে ৬৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করলেও অতিরিক্ত তিনটি খাত (পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়ার ও ট্যাগ বোট) অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে অপ্রয়োজনীয়। বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও উল্লিখিত তিনটি কাজ অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সুপারিশ করেননি। এসব খাতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের প্রায় ৫৮৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, দুই ব্যাংক থেকে ১৬শ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করে সংস্থাটি।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা সুপরিকল্পিতভাবে নিজেদের এবং অন্যদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে প্রকল্পে কল্পিত ও অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা অনুমোদন করান। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) এবং অরুপ হংকং জেভি যৌথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা দাখিল করে।

২০১৫ সালে সিসিসিসি প্রস্তাবিত ৬৭৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের বিপরীতে ৬৪৬ মিলিয়ন ডলারে করা কথা জানায় সেতু বিভাগ। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দেখা যায়, সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় উল্লিখিত ১০টি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বাস্তবায়িত হয়নি।

দুদক জানায়, প্রকল্পের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, বাস্তবে তার খুব কম অংশই পূরণ হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুলাই (২০২৫) পর্যন্ত সময়ে কর্ণফুলী টানেল দিয়ে চলাচল করেছে মাত্র ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন— যা সম্ভাব্যতার ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এ সময়ে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা, অথচ রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়েছে ২০৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে সরকারের প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পে যুক্ত করা তিনটি কাজ— পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং ট্যাগ বোট— প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না এবং এসব বিষয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কোনো সুপারিশ ছিল না।

বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি সুলিভান ও মাইকেল কান্টনার এবং আইইউটির অধ্যাপক ড. হোসেন মো. শাকিনও এ তিনটি কাজের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেননি।

অথচ এসব কাজ অন্তর্ভুক্ত করে অনুমোদন দেওয়া হয় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে। এতে জনগণের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়।

দুদক আরও জানিয়েছে, আসামিরা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ), ২০০৬ এর বিধান লঙ্ঘন করে প্রকল্পে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ দেন। এতে ৫৫ লাখ ২১ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের ঘোষণা দেন। কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন হয় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর।

কিন্তু বাস্তবায়নের পর প্রকল্পের অর্থনৈতিক ফলাফল হতাশাজনক। বিপুল ব্যয়, কম রাজস্ব, ও কল্পিত লক্ষ্যমাত্রার ব্যর্থতায় প্রকল্পটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে দুর্নীতি

ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৭:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন— সেতু বিভাগের সাবেক সচিব ও নির্বাহী পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) কবির আহমদ এবং সাবেক পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এ প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় তিনটি কাজ— পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং একটি ট্যাগ বোট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ উপেক্ষা করেই এসব কাজ প্রকল্পে যুক্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে নেগোসিয়েশন কমিটির নেগোসিয়েশন মূল্য উপেক্ষা করে এবং নিজেদের নিয়োজিত বিদেশি বিশেষজ্ঞের সুপারিশবিহীন অতিগুরুত্বপূর্ণ নয় এমন তিনটি কাজ পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং একটি ট্যাগ বোর্ড অন্তর্ভুক্তি করে সরকারের ৫৯.৮০ মিলিয়ন ডলার বা ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে পিপিএ ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট বিধান লঙ্ঘন করে ৫৫ লাখ ২১ হাজার ১৮৬ টাকা ব্যয়ে পরামর্শক নিয়োগ করেও সরকারের ক্ষতিসাধন করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা হয়েছে।

নেগোসিয়েশন কমিটি মূল্যে ৬৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করলেও অতিরিক্ত তিনটি খাত (পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়ার ও ট্যাগ বোট) অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে অপ্রয়োজনীয়। বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও উল্লিখিত তিনটি কাজ অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সুপারিশ করেননি। এসব খাতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের প্রায় ৫৮৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, দুই ব্যাংক থেকে ১৬শ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করে সংস্থাটি।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা সুপরিকল্পিতভাবে নিজেদের এবং অন্যদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে প্রকল্পে কল্পিত ও অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা অনুমোদন করান। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) এবং অরুপ হংকং জেভি যৌথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা দাখিল করে।

২০১৫ সালে সিসিসিসি প্রস্তাবিত ৬৭৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের বিপরীতে ৬৪৬ মিলিয়ন ডলারে করা কথা জানায় সেতু বিভাগ। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দেখা যায়, সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় উল্লিখিত ১০টি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বাস্তবায়িত হয়নি।

দুদক জানায়, প্রকল্পের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, বাস্তবে তার খুব কম অংশই পূরণ হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুলাই (২০২৫) পর্যন্ত সময়ে কর্ণফুলী টানেল দিয়ে চলাচল করেছে মাত্র ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন— যা সম্ভাব্যতার ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এ সময়ে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা, অথচ রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়েছে ২০৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে সরকারের প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পে যুক্ত করা তিনটি কাজ— পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং ট্যাগ বোট— প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না এবং এসব বিষয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কোনো সুপারিশ ছিল না।

বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি সুলিভান ও মাইকেল কান্টনার এবং আইইউটির অধ্যাপক ড. হোসেন মো. শাকিনও এ তিনটি কাজের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেননি।

অথচ এসব কাজ অন্তর্ভুক্ত করে অনুমোদন দেওয়া হয় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে। এতে জনগণের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়।

দুদক আরও জানিয়েছে, আসামিরা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ), ২০০৬ এর বিধান লঙ্ঘন করে প্রকল্পে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ দেন। এতে ৫৫ লাখ ২১ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের ঘোষণা দেন। কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন হয় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর।

কিন্তু বাস্তবায়নের পর প্রকল্পের অর্থনৈতিক ফলাফল হতাশাজনক। বিপুল ব্যয়, কম রাজস্ব, ও কল্পিত লক্ষ্যমাত্রার ব্যর্থতায় প্রকল্পটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।