ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

বনজ কুমারের মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস

আইন-আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৯৭৪ Time View

মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে খালাস দিয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সাক্ষী সমাপ্ত ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।

পিবিআই প্রধান থাকার সময় বনজ কুমারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইলিয়াসসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গত ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে নিয়ে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার পিতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি প্রদান করেন। একইসঙ্গে অপর আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন।

অপর তিন আসামি হলেন- নিহত মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, তার পিতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু।

২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলায় বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুকে অব্যাহতি দেন ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বনজ কুমারের মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস

আইন-আদালত ডেস্ক
Update Time : ০৪:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে খালাস দিয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সাক্ষী সমাপ্ত ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।

পিবিআই প্রধান থাকার সময় বনজ কুমারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইলিয়াসসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গত ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত চার্জশিট আমলে নিয়ে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার পিতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি প্রদান করেন। একইসঙ্গে অপর আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন।

অপর তিন আসামি হলেন- নিহত মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, তার পিতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু।

২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলায় বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুকে অব্যাহতি দেন ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।