ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ডেসটিনির রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে নতুন দল ‘আ-আম জনতা পার্টি’ ইসরাইল স্পষ্টভাবে গাজা দখলের চেষ্টা করছে: উত্তর কোরিয়া ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে : আইএইএ গাইবান্ধার সাবেক এমপিকে কারাগারে প্রেরণ আওয়ামী লীগ নেতা এখনও চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন রংপুরে দোকানপাট বন্ধ রেখে আধাবেলা ধর্মঘট পালন গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে টঙ্গীতে তা’মীরুল মিল্লাত শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি দেশব্যাপী আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা এসএসসি পরীক্ষা: মোরেলঞ্জে দায়িত্ব অবহেলার কারনে ৯ শিক্ষককে বহিস্কার

সৌদি আরব রাশিয়া থেকে কেনো এত তেল কিনছে?

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • / ১৬৮ Time View

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। একদিকে পশ্চিমাবিশ্বের নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে যুদ্ধের খরচ মিটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।

জানা যায়, যুদ্ধের খরচ মিটাতে অল্প দামে জ্বালানি তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। আর এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কয়েকটি দেশ। বিশেষ করে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। তেশ সমৃদ্ধ দেশ হয়েও কেনো সৌদি আরব তেল কিনছে সে প্রশ্ন অনেকের। রাশিয়া থেকে ছাড়ে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম তেল উৎপাদক দেশ সৌদি আরব।

জুন মাসে রাশিয়া থেকে আগের চেয়ে দশগুণ বেশি তেল আমদানি করেছে দেশটি। ব্যবসায়ী ও কেপলারের তথ্যের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।

ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর পর গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা মেটাতে এবং অপরিশোধিত তেল রপ্তানি বজায় রাখার জন্য রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে সৌদি আরব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে রাশিয়া। এমন অবস্থার মধ্যেও এসব রপ্তানির কারণে রাশিয়ার তেল বাণিজ্য অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের আগের ইউরোপে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি রপ্তানি করত রাশিয়া। তবে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সেই বাজারে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্লেষণকারী সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, সৌদি আরব জুন মাসে রাশিয়া থেকে রেকর্ড ৯ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন (প্রতিদিন ১ লাখ ৯৩ হাজার ব্যারেল) জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।

তথ্যে দেখা গেছে, রাশিয়ার পণ্যের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার পর এই বছর রাশিয়া থেকে জ¦ালানি তেল আমদানি বাড়িয়েছে সৌদি। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে সৌদি আমদানি করেছে ২.৬৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন রুশ তেল। যা ২০২২ সালে ছিল ১.৬৩ মিলিয়ন মেট্রিক। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

রাষ্ট্রীয় তেল জায়ান্ট সৌদি আরামকোও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। কনসালটেন্সি এনার্জি অ্যাসপেক্টস এর জ্বালানি তেল এবং ফিডস্টক বিশ্লেষক রয়স্টন হুয়ান বলেছেন, রাশিয়া থেকে প্রধানত উচ্চ-সালফার ফুয়েল অয়েল কার্গোগুলো বেশিরভাগই সৌদি তেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে যাত্রা শেষ করেছে।

সৌদি আরব এই মাসে বলেছে যে, পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস এরইমধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে তেল উৎপাদন কমিয়েছে। আগস্ট মাস থেকে দৈনিক আরও দশ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে সংস্থাটি।

ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, সস্তা রাশিয়ান জ্বালানি তেলের পাশাপাশি ডিজেল আমদানি করছে এবং উচ্চ মুনাফা অর্জনের জন্য রপ্তানি বাড়াচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরব জুলাই মাসে জ্বালানি তেল রপ্তানি বাড়িয়ে ১.২ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করার পূর্বাভাস দিয়েছে। জুন মাসে এই পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। সূত্র: রয়টার্স।

Please Share This Post in Your Social Media

সৌদি আরব রাশিয়া থেকে কেনো এত তেল কিনছে?

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১১:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। একদিকে পশ্চিমাবিশ্বের নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে যুদ্ধের খরচ মিটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।

জানা যায়, যুদ্ধের খরচ মিটাতে অল্প দামে জ্বালানি তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। আর এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কয়েকটি দেশ। বিশেষ করে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। তেশ সমৃদ্ধ দেশ হয়েও কেনো সৌদি আরব তেল কিনছে সে প্রশ্ন অনেকের। রাশিয়া থেকে ছাড়ে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম তেল উৎপাদক দেশ সৌদি আরব।

জুন মাসে রাশিয়া থেকে আগের চেয়ে দশগুণ বেশি তেল আমদানি করেছে দেশটি। ব্যবসায়ী ও কেপলারের তথ্যের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।

ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর পর গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা মেটাতে এবং অপরিশোধিত তেল রপ্তানি বজায় রাখার জন্য রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে সৌদি আরব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে রাশিয়া। এমন অবস্থার মধ্যেও এসব রপ্তানির কারণে রাশিয়ার তেল বাণিজ্য অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের আগের ইউরোপে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি রপ্তানি করত রাশিয়া। তবে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সেই বাজারে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্লেষণকারী সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, সৌদি আরব জুন মাসে রাশিয়া থেকে রেকর্ড ৯ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন (প্রতিদিন ১ লাখ ৯৩ হাজার ব্যারেল) জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।

তথ্যে দেখা গেছে, রাশিয়ার পণ্যের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার পর এই বছর রাশিয়া থেকে জ¦ালানি তেল আমদানি বাড়িয়েছে সৌদি। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে সৌদি আমদানি করেছে ২.৬৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন রুশ তেল। যা ২০২২ সালে ছিল ১.৬৩ মিলিয়ন মেট্রিক। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

রাষ্ট্রীয় তেল জায়ান্ট সৌদি আরামকোও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। কনসালটেন্সি এনার্জি অ্যাসপেক্টস এর জ্বালানি তেল এবং ফিডস্টক বিশ্লেষক রয়স্টন হুয়ান বলেছেন, রাশিয়া থেকে প্রধানত উচ্চ-সালফার ফুয়েল অয়েল কার্গোগুলো বেশিরভাগই সৌদি তেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে যাত্রা শেষ করেছে।

সৌদি আরব এই মাসে বলেছে যে, পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস এরইমধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে তেল উৎপাদন কমিয়েছে। আগস্ট মাস থেকে দৈনিক আরও দশ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে সংস্থাটি।

ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, সস্তা রাশিয়ান জ্বালানি তেলের পাশাপাশি ডিজেল আমদানি করছে এবং উচ্চ মুনাফা অর্জনের জন্য রপ্তানি বাড়াচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরব জুলাই মাসে জ্বালানি তেল রপ্তানি বাড়িয়ে ১.২ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করার পূর্বাভাস দিয়েছে। জুন মাসে এই পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। সূত্র: রয়টার্স।