ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আতঙ্কে হাজারো পরিবার

সুন্দরবনের উপকূলে শরণখোলায় ৩০০ কোটি টাকার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট
  • Update Time : ০১:৫৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬৯ Time View

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী শাসন না করে এবং মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করায় গোড়া থেকেই ধস শুরু হয়েছে। সামান্য ঢেউয়ের আঘাতেই বাঁধ ভেঙে পড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে ধস।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর অতিবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা দুর্যোগে বাঁধের বিভিন্ন অংশ একের পর এক ভেঙে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আশপাশের হাজারো পরিবার।

সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল আলম লিটন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘পুরনো বেড়িবাঁধটি সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নতুন বাঁধ নির্মাণ হলেও তা একেবারেই টেকসই হয়নি। নিম্নমানের কাজ হয়েছে। নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত ভাঙন হচ্ছে। দ্রুত নদী শাসন না করলে এই বাঁধ টিকবে না।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, ‘গত বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে ইমার্জেন্সি কাজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জাইকার অর্থায়নে সাত কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ৩০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাজেট পেলে সাউথখালী ও বগী এলাকায় নদী শাসনসহ ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আতঙ্কে হাজারো পরিবার

সুন্দরবনের উপকূলে শরণখোলায় ৩০০ কোটি টাকার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট
Update Time : ০১:৫৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী শাসন না করে এবং মাটির পরিবর্তে বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করায় গোড়া থেকেই ধস শুরু হয়েছে। সামান্য ঢেউয়ের আঘাতেই বাঁধ ভেঙে পড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে ধস।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর অতিবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা দুর্যোগে বাঁধের বিভিন্ন অংশ একের পর এক ভেঙে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আশপাশের হাজারো পরিবার।

সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল আলম লিটন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘পুরনো বেড়িবাঁধটি সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নতুন বাঁধ নির্মাণ হলেও তা একেবারেই টেকসই হয়নি। নিম্নমানের কাজ হয়েছে। নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত ভাঙন হচ্ছে। দ্রুত নদী শাসন না করলে এই বাঁধ টিকবে না।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, ‘গত বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে ইমার্জেন্সি কাজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জাইকার অর্থায়নে সাত কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ৩০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাজেট পেলে সাউথখালী ও বগী এলাকায় নদী শাসনসহ ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হবে।