তিস্তার পানি ফের বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

- Update Time : ০১:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
- / ২১২ Time View
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পানি ফের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তাতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি ঢুকছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা গুলো হাজারো পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর চর অঞ্চল গুলোতে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানআবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাহাদাত, ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মশিউর রহমান জানান, তাদের ইউনিয়নের অসংখ্য পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে পানি। এতে হাতীবান্ধাস্থ তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এদিকে ধরলা নদীর পানিও বাড়া-কমার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার।
বর্ষা মৌসুমে জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। প্রথম দফা স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে বাড়তে শুরু করে পানি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকালে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জরুরি প্রয়োজনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউএনওদের মাধ্যমে সকল পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছি।