ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আরিফুল হক নভেল
  • Update Time : ০৫:২৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৪ Time View

বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির হেয়ার রোডের বাসভবনে দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় ২০ মিনিটের মতো তাদের মধ্যে বৈঠক চলে।

সুপ্রীম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসন সংক্রান্ত বিষয়াবলি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় তাঁরা পারস্পারিক কুশলাদি বিনিময় করেন।

এসময় মাননীয় প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে তাঁর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। বিশেষ করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।

মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাননীয় প্রধান বিচারপতির এক বছর পূর্তিতে তাঁকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি গৃহীত  বিভিন্ন পদক্ষেপসমহের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, মাননীয় প্রধান বিচারপতি কর্তৃক একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারবিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান, মামলায় বিবাদী পক্ষকে লিগ্যাল এইড প্রদানে ক্যাপাসিটি টেস্ট চালু, সুপ্রীম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ আইন প্রণয়ন, বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রীম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলোকে কার্যকরী ও সময়োপযোগী  পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তাঁর দেশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে ব্যক্ত করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

সূত্র জানায়, কমিশনের সদস্য সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার ও মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান এরিক গিলান ওই বৈঠকে ছিলেন।

বৈঠক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তুতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় সনদসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপের অগ্রগতি ও পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলী রীয়াজের কথা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আরিফুল হক নভেল
Update Time : ০৫:২৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির হেয়ার রোডের বাসভবনে দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় ২০ মিনিটের মতো তাদের মধ্যে বৈঠক চলে।

সুপ্রীম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসন সংক্রান্ত বিষয়াবলি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় তাঁরা পারস্পারিক কুশলাদি বিনিময় করেন।

এসময় মাননীয় প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে তাঁর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। বিশেষ করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।

মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাননীয় প্রধান বিচারপতির এক বছর পূর্তিতে তাঁকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি গৃহীত  বিভিন্ন পদক্ষেপসমহের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, মাননীয় প্রধান বিচারপতি কর্তৃক একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারবিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান, মামলায় বিবাদী পক্ষকে লিগ্যাল এইড প্রদানে ক্যাপাসিটি টেস্ট চালু, সুপ্রীম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ আইন প্রণয়ন, বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রীম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলোকে কার্যকরী ও সময়োপযোগী  পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তাঁর দেশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে ব্যক্ত করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

সূত্র জানায়, কমিশনের সদস্য সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার ও মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান এরিক গিলান ওই বৈঠকে ছিলেন।

বৈঠক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তুতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় সনদসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপের অগ্রগতি ও পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলী রীয়াজের কথা হয়।