জুলাইয়ের চেতনা সমুন্নত রাখতে শেকৃবি ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের উদ্যোগ

- Update Time : ০৮:০৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৪০ Time View
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এই প্রতিযোগিতার মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। দুই ধাপের এই আয়োজনের প্রথম পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেখান থেকে বাছাই করা ৮২ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মূল পর্বে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্নপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। নির্ধারিত সময়ে প্রতিযোগিতা শেষে মেধার ভিত্তিতে বাছাইকৃত দশজনকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
“আমাদের এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল যে জুলাইয়ের চেতনা যাতে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা যায়। আমরা আমাদের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চেষ্টা করেছি যে আমাদের ক্যাম্পাসে এবং সমগ্র বাংলাদেশে যে আন্দোলন হয়েছে তা শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের মধ্যে ধরে রাখে”, বলেন ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সিয়াম।
তিনি আরও জানান, প্রতিযোগিতাটি বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত ছিল। তিনি বলেন, “৮-৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেছে। অনলাইনে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ মূল পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের অগ্রযাত্রা ইতিহাসের সাথে চলমান থাকবে, এই অঙ্গীকার করছি।”
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর আলম শোভন বলেন, “জুলাই আমাদের গর্ব। জুলাই শহীদদের স্মৃতিতে আমাদের এই আয়োজন যাতে আমরা শহীদদের ভুলে না যাই। স্বৈরাচার মুক্তির পেছনে সকল ধরনের জন্য সাধারণের মানুষের অবদানকে স্মরণ করি এবং তাদের স্মরণে আমাদের আজকের এই আয়োজন।”
সংগঠনটির চিফ মডারেটর অধ্যাপক ড. আমিনুজ্জামান বলেন, “কুইজের প্রশ্ন দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে উঠে এসেছে। তবে দুঃখজনক হলো, অভ্যুত্থানের পর আমরা কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। আমরা ঐক্য ধরে রাখতে পারিনি, অনেক ক্ষেত্রে বিভাজিত হয়েছি। গত এক বছরে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে আরও সরে গেছি। তবে বিপ্লব আবারও আসতে পারে এবং তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”
প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন বলেন, “ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব এমন একটি আয়োজন করে জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “জুলাই আন্দোলনের শুরুটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় ছিল আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নাম ধরে মামলা দেওয়া হয়েছিল, যা তৎকালীন প্রশাসনের দমন-নিপীড়নের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। বাংলাদেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, “বর্তমান প্রশাসন সব ধরনের সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”