টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ তরুণী : গাফিলতির দায় কার?
- Update Time : ০২:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
- / ৪৫৩ Time View
গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় উন্মুক্ত ড্রেনে পড়ে ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি (২৪) নামে এক তরুণী নিখোঁজ হয়েছেন।
গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে সেই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল রাত থেকে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
রবিবার (২৭ জুলাই ২০২৫) রাত ৮টার দিকে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ফারিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ড মসজিদপাড়ার বাসিন্দা এবং মৃত ওলিউল্লাহ আহাম্মদ বাবলুর মেয়ে। বর্তমানে তিনি টঙ্গী হোসেন মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি ওষুধ কোম্পানির হয়ে কাজ করছিলেন। ঘটনার সময় ওষুধ সরবরাহের কাজে টঙ্গী মেডিকেল যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাতে বৃষ্টির মধ্যে ঢাকা ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ডাক্তার ভিজিটে যাওয়ার পথে একটি খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান ওই নারী। পানির প্রচণ্ড স্রোতে তিনি মুহূর্তেই তলিয়ে যান। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে ডুবুরি দলসহ তিনটি ইউনিটের সদস্যরা অভিযান চালায়। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ওই নারীর সন্ধান মেলেনি।
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ভোর পর্যন্ত অভিযান চললেও তরুণীর কোনো সন্ধান মেলেনি।
ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শাহিন আলম জানান, গতকাল প্রায় ১০ ফুট গভীর পানিভর্তি ম্যানহোলে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানো হয়েছে। আজও (সোমবার) সকাল থেকে ব্যাপি আধ কিলোমিটার স্লাব উঠিয়ে ডুবুরি দিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। “ড্রেনের গভীরতা ও পানির স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।”
নিখোঁজ তরুণীর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভাই লোটন ও শোভন বোনের সন্ধান চেয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করছেন।
এ বিষয় এলাকাবাসী বলেন, নগর কর্তৃপক্ষ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই আজ একজন তরুণী প্রাণ হারাতে বসেছে। এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়—এটা হত্যার সামিল।
স্থানীয়দের দাবি,সিটি কর্পোরেশনের গাফিলতির দায়ে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সকল উন্মুক্ত ড্রেনে দ্রুত স্লাব বসাতে হবে। জনসচেতনতা ও সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে।



























































































































































































