বাকৃবিতে গ্রীন ভয়েসের ‘মেঘের আড়ালে’ অনুষ্ঠিত

- Update Time : ১২:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
- / ৭৫ Time View
বর্ষা মানেই নতুন প্রাণের স্পন্দন, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান আর প্রকৃতির সঙ্গে মিতালি। এই ঋতুকেই বরণ করে নিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’-এর ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘মেঘের আড়ালে’।
অনুষ্ঠানটি শুধু সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, বরং পরিবেশ ও সচেতনতার এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল । শিশুদের কলকাকলি, উৎসবের ছোয়া ও মেঘের অনাবিল ছন্দে, ঢোলের শব্দ ও শ্রাবণের প্রতিধ্বনিতে শুরু হয় ওই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আনুষ্ঠানিকতা। একে একে মঞ্চে ওঠেন নৃত্যশিল্পী, সংগীত শিল্পী ও পরিবেশকর্মীরা। প্রতিটি পরিবেশনাতেই ছিল প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা আর দায়বদ্ধতার বার্তা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল হক, চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ূন কবির, মাওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শরীফ-আর-রাফি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়ক শাকিল কবির, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পারিকা মুস্তাফা পুন্যসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো বাকৃবি সাংবাদিক সমিতি।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাগুলোতে স্থান পায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝুমুর নৃত্য, বাউল গান ও আধুনিক উপস্থাপনা। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল পরিবেশবান্ধব খাবার ও গাছের স্টল ও হস্ত শিল্পের স্টল। এছাড়াও আয়োজন ছিল মজার মজার খেলাধুলার। খেলার জয়ীদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
সবচেয়ে চমকপ্রদ অংশ ছিল প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে গাছের চারা ও পরিবেশ বান্ধব উপকরণ বিতরণ। এসময় দেড় শতাধিক গাছ বিতরণ করা হয় যা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও দর্শকদের মধ্যে। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।
আয়োজন শেষে গ্রীন ভয়েস বাকৃবি শাখার সভাপতি ইফরান ইউসুফ শিহাব বলেন, “এই বর্ষাবরণ শুধুই উৎসব নয়, এটি এক আহ্বান প্রকৃতিকে ভালোবাসার, তাকে রক্ষা করার। আমাদের প্রতিটি উৎসবে প্রকৃতির প্রতিই থাকতে হবে দায়বদ্ধতা। ‘মেঘের আড়ালে’ তাই শুধু বিনোদনের সন্ধ্যা নয়, ছিল আত্মজাগরণের মুহূর্ত। যেখানে গান আর নৃত্যের ছন্দে প্রকৃতি হয়ে ওঠে প্রতিটি মানুষের অনুভবে এক নতুন উপলব্ধি। আমরা চাই আমাদের মতো অন্য সংগঠন গুলোও এ ধরনের অনুষ্ঠান বেশি করুক। আমরা আমাদের চাহিদার থেকেও বেশি সাড়া পেয়েছি যা আমাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।”
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়