ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে মহানবী শিখিয়েছেন ন্যায়বিচার কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য সীমাবদ্ধ নয় গণঅধিকার পরিষদকে নিষেধাজ্ঞার দাবি জাপা মহাসচিবের জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন, মহাসচিবের আলটিমেটাম জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ নীলফামারীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ফের টঙ্গীতে মানববন্ধন “সাইফুর রহমান দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন” রাসুলের দেখানো পথেই মানুষ সৎভাবে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে: তারেক রহমান চীন-পাকিস্তানের মধ্যে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর ভাঙ্গায় তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার এলাকাবাসীর

বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল

সাজিদ মাহমুদ ইফতি, ঢাকা
  • Update Time : ০৯:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • / ১৭৪ Time View

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুরো জাতি শোকে স্তব্ধ। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। তবে এমন শোকাবহ পরিস্থিতিতে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাধারণ মানুষ।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আহতদের জীবন বাঁচাতে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রক্তদানের জন্য মানুষের ঢল নেমেছে। হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ভিড় করছেন। এমন উদ্যোগ প্রমাণ করে, দুর্যোগে মানুষ এখনো মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ পুড়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন রক্তদানের জন্য।

হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবী আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“সংবাদ দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। উনি ও পজিটিভ, আমি বি নেগেটিভ—যার যেখানে দরকার হবে, রক্ত দিতে রাজি আছি।”

রক্তের সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে নেগেটিভ গ্রুপের ক্ষেত্রে। পজিটিভ গ্রুপের রক্তদাতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হলেও, নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তদানের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রক্তদান সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবাই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভিড় করছেন রক্ত দিতে। হাসপাতালের ফটকে রক্তদাতাদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে—যেখানে অনেকেই একসঙ্গে একাধিক জনকে নিয়ে এসেছেন।

এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে মানুষের এমন এগিয়ে আসা নিঃসন্দেহে একটি আশার আলো দেখিয়েছে—যেখানে মানুষ শুধু সাড়া দেয়নি, বরং নিজেদের রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে এসেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল

সাজিদ মাহমুদ ইফতি, ঢাকা
Update Time : ০৯:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুরো জাতি শোকে স্তব্ধ। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। তবে এমন শোকাবহ পরিস্থিতিতে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাধারণ মানুষ।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আহতদের জীবন বাঁচাতে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রক্তদানের জন্য মানুষের ঢল নেমেছে। হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ভিড় করছেন। এমন উদ্যোগ প্রমাণ করে, দুর্যোগে মানুষ এখনো মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ পুড়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন রক্তদানের জন্য।

হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবী আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“সংবাদ দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। উনি ও পজিটিভ, আমি বি নেগেটিভ—যার যেখানে দরকার হবে, রক্ত দিতে রাজি আছি।”

রক্তের সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে নেগেটিভ গ্রুপের ক্ষেত্রে। পজিটিভ গ্রুপের রক্তদাতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হলেও, নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তদানের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রক্তদান সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবাই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভিড় করছেন রক্ত দিতে। হাসপাতালের ফটকে রক্তদাতাদের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে—যেখানে অনেকেই একসঙ্গে একাধিক জনকে নিয়ে এসেছেন।

এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে মানুষের এমন এগিয়ে আসা নিঃসন্দেহে একটি আশার আলো দেখিয়েছে—যেখানে মানুষ শুধু সাড়া দেয়নি, বরং নিজেদের রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে এসেছে।