বেরোবি প্রশাসনকে ‘শাড়ি-চুড়ি’ দিলো শিক্ষার্থীরা

- Update Time : ০৯:২১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
- / ৪২ Time View
নীতিমালা ভঙ্গ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্র রাজনীতি করা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে প্রশাসনকে শাড়ি ও চুড়ি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এরপর বেরোবির পরিচালক অধ্যাপক ইলিয়াস প্রামানিক ও প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানের অনুপস্থিতিতে তাদের চেয়ারে শাড়ি জড়িয়ে দেয়াসহ টেবিলে চুড়ি রেখে দেয়া হয়।
পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বেরোবির শিক্ষার্থী সামসুর রহমান সুমন ও আশিকুর রহমান আশিক। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী, নাইমুর রহমান, রোবায়েদ হাসান, রুম্মানুল ইসলাম রাজসহ অন্যরা।
‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, নোংরা রাজনীতির কারণে আমরা আবু সাঈদকে হারিয়েছি। আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে এই নোংরা রাজনীতির কারণে আর কোনো শিক্ষার্থীকে হারাতে চাই না। স্পষ্টভাবে আমরা বলতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুরবৃত্তিক কোনো রাজনীতি ঠাঁই হবে না। আমরা লক্ষ্য করছি প্রশাসন তাদেরকে প্রটোকল দিচ্ছে। প্রশাসনের এই প্রটোকলের জন্য তারা আবারও রাজনীতির করার সাহস পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আমরা বলতে চাই, আপনারা না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। যারা শিক্ষার্থীদের দাবি ও আকাঙ্খা বাস্তবায়নে কাজ করতে পারবে তাদেরকেই আমরা প্রশাসনিক দায়িত্বে চাই। আমরা কোনোভাবেই আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকতে দেব না। এসময় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির কিছু বিচ্ছিন্ন প্রমাণ আমরা পেয়েছি। যা নিয়ে আমরা কাজও শুরু করে দিয়েছি। তারমধ্যেই আমরা জানতে পারি শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিকেল পাঁচটায় আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা বিকেল সাড়ে চারটায় তাদের এ কর্মসূচি পালন করেছে।
এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরই মধ্যে শাড়ি-চুড়ি পড়ানো কর্মসূচির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীদের একাংশ।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ও ১৫ এপ্রিল ২০২৫-এর অফিস আদেশ অনুযায়ী ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১১১তম সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা হয়।