ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোহাগ হত্যাকান্ডে ৫ দিনের রিমান্ডে দুই ভাই

আইন-আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / ১৬ Time View

ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় দুই ভাই সজীব বেপারী এবং রাজীব বেপারীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়া এ আদেশ দেন।

এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর মো. মনিরুজ্জামান দুই ভাইকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তাদের আইনজীবী আছে কি না। তখন তারা বলেছেন, তাদের কোনো আইনজীবী নেই।

এসময় রাজীব বেপারী আদালতকে বলেন, “সজীব বেপারী আমার বড় ভাই। আমি কিছু করিনি। আমি নির্দোষ।”

শুনানি শেষে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ভাইয়ের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

সজীব ও রাজীবকে রোববার নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেতলে হত্যা করা হয় সোহাগকে।

এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই সোহাগের পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন।

এ ঘটনায় তার বড় বোন কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে।

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম এম. মিজবাহ উর রহমান এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারের পর গত বৃহস্পতিবার রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে শনিবার অস্ত্র মামলায় রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এখন তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল।

আদালতের কোতয়ালী থানার প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কারো সঙ্গে তার ‘সম্পর্ক নেই’ বলে এর আগে রবিন দাবি করেছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি ফাইসা গেছি। ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সন্দেহের কারণে আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার জীবনটা শেষ। আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছে, ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। আর কিছু বলতে চাই না।”

রবিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। আমি দোষী, সারা বাংলাদেশের মানুষ জেনে গেছে।”

তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

সোহাগ হত্যাকান্ডে ৫ দিনের রিমান্ডে দুই ভাই

আইন-আদালত ডেস্ক
Update Time : ০৫:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় দুই ভাই সজীব বেপারী এবং রাজীব বেপারীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়া এ আদেশ দেন।

এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর মো. মনিরুজ্জামান দুই ভাইকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তাদের আইনজীবী আছে কি না। তখন তারা বলেছেন, তাদের কোনো আইনজীবী নেই।

এসময় রাজীব বেপারী আদালতকে বলেন, “সজীব বেপারী আমার বড় ভাই। আমি কিছু করিনি। আমি নির্দোষ।”

শুনানি শেষে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ভাইয়ের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

সজীব ও রাজীবকে রোববার নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেতলে হত্যা করা হয় সোহাগকে।

এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই সোহাগের পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন।

এ ঘটনায় তার বড় বোন কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে।

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম এম. মিজবাহ উর রহমান এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারের পর গত বৃহস্পতিবার রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে শনিবার অস্ত্র মামলায় রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এখন তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল।

আদালতের কোতয়ালী থানার প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কারো সঙ্গে তার ‘সম্পর্ক নেই’ বলে এর আগে রবিন দাবি করেছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি ফাইসা গেছি। ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সন্দেহের কারণে আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার জীবনটা শেষ। আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছে, ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। আর কিছু বলতে চাই না।”

রবিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। আমি দোষী, সারা বাংলাদেশের মানুষ জেনে গেছে।”

তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।