ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক কারামুক্ত শহিদুল আলম, গেলেন তুরস্কে অটোরিকশা চালকের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আহত

জাককানইবিতে খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

জাককানইবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৩১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / ১৩৬ Time View

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জুলাই ২০২৪ হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হচ্ছে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান’-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাসব্যাপী যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তারই অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় গণস্বাক্ষর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি প্রথম স্বাক্ষর দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “গত বছরের আন্দোলনে ছাত্রসমাজের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। সরকার যেভাবে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সে সহযোগিতা যেন আরও জোরদার হয়, সেই আহ্বান জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “এই ঐক্যের শক্তিতেই আমরা নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারও সেই পথেই এগিয়ে চলেছে। যেসব শিক্ষার্থী গণ-অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন, তাঁদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় থেকেছে—ভর্তির ক্ষেত্রে কোটার সুযোগ থেকে শুরু করে ফি মওকুফের উদ্যোগ পর্যন্ত।”

গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স), অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, এবং সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহসহ অসংখ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা এসময় বলেন, “একটি ঐতিহাসিক ক্ষণকে স্মরণ করার পাশাপাশি এর বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে—এটাই আমাদের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।”

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য-সচিব ও লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহ।এই গণস্বাক্ষর কার্যক্রম চলবে আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।

Please Share This Post in Your Social Media

জাককানইবিতে খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

জাককানইবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৩১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জুলাই ২০২৪ হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হচ্ছে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান’-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাসব্যাপী যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তারই অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় গণস্বাক্ষর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি প্রথম স্বাক্ষর দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “গত বছরের আন্দোলনে ছাত্রসমাজের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। সরকার যেভাবে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে, সে সহযোগিতা যেন আরও জোরদার হয়, সেই আহ্বান জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “এই ঐক্যের শক্তিতেই আমরা নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারও সেই পথেই এগিয়ে চলেছে। যেসব শিক্ষার্থী গণ-অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন, তাঁদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় থেকেছে—ভর্তির ক্ষেত্রে কোটার সুযোগ থেকে শুরু করে ফি মওকুফের উদ্যোগ পর্যন্ত।”

গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স), অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, এবং সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহসহ অসংখ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা এসময় বলেন, “একটি ঐতিহাসিক ক্ষণকে স্মরণ করার পাশাপাশি এর বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে—এটাই আমাদের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।”

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য-সচিব ও লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহ।এই গণস্বাক্ষর কার্যক্রম চলবে আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।