ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাংকে লাশের পরিচয় সনাক্ত; গ্রেফতার ১

- Update Time : ০৩:২২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
- / ২৯ Time View
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারী ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রযুক্তির সহায়তায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে নিখোঁজ নারীর মুঠোফোন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪)। তিনি ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের পাতিলগাঁও গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, দাদরা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের বাড়ির পাশে দুর্গন্ধ পেয়ে তাঁরা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুলে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই নারীর ছোট ভাই মো. ইলিয়াছ ২ জুলাই ফুলপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তারাকান্দায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি থানায় গিয়ে পরনের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ, র্যা ব ও সিআইডির পাশাপাশি পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত করে মাত্র এক দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আসামী রোহান মিয়া (২৫) পিতা-মোঃ আলাল মিয়া, মাতা-সেলিনা খাতুন, সাং-দাদরা, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমের মোবাইল করা হয়। পিবিআই মামলাটি স্বউদ্যোগে গ্রহণ করে।
জানা যায়, নিহতের নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪), পিতা-কেরামত আলী, সাং-পাতিলগাঁও, থানা-ফুলপুর জেলা-ময়মনসিংহ। সন্ধিগ্ধ আসামী রোহান গত ২৮/০৬/২০২৫ তারিখে তার বন্ধু আকিকুল এর কাছ থেকে ভিকটিম সুফিয়ার মোবাইল নম্বরটি নিয়ে প্রেমের অভিনয় করে।
২৯/০৬/২০২৫ তারিখে ভিকটিম সুফিয়া তার বাড়ীর পাশে বাজারে আসলে সন্ধিগ্ধ আসামী রোহান তার সাথে দেখা করে এবং ভিকটিম সুফিয়াকে নিয়ে রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকার দিকে তার এলাকায় আসে। সন্ধিগ্ধ আসামী রোহান ভিকটিম সুফিয়াকে গেসু মিয়ার নির্জন বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামি ভিকটিম সুফিয়াকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মৃতদেহটি সেপটিক ট্যাংকির ভিতরে ফেলে দেয়।
সন্দিগ্ধ আসামী রোহান ডিসিস্ট সুফিয়ার সাথে থাকা ৩,৫০০/- টাকা ও টাচ মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায় এবং আত্মগোপন করে।
সুচতুর আসামি সব কিছু স্বীকার করলেও বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে নাই। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়