ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টাঙ্গাইল শহরের প্রবেশ দ্বারে ময়লার ভাগার, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহিলারা সবচাইতে ভালো থাকবে পুলিশের চেকপোস্টে পিস্তল-গুলি ফেলে পালাল সন্ত্রাসী রিফিউজি জীবন চাই না, নিজভূমিতে ফিরতে চাই উখিয়ায় ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান: আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার নিজ দলের লোকই বিএনপির কাছে নিরাপদ নয় – ফজলুল করিম বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হকের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন মিথ্যা তথ্য দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড নির্বাচনের পূর্বে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে – রাশেদ প্রধান গাইবান্ধায় “জনগণের কথা” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

একে একে মৃত্যু বিষাদে পরিণত হলো উখিয়ায় জন্ম নেয়া ৪ সন্তান

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ১১৭ Time View

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের মোছারখোলা এলাকার প্রবাসী রবিউল আলমের ঘরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে মারা গেছে একে-একে সব সন্তান। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো পরিবার ও এলাকায়।

গত মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রবাসী রবিউল আলমের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অস্ত্রোপচারটি পরিচালনা করেন গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. আরিফা মেহের রুমী ও ডা. মোসাম্মৎ রোকসানা আক্তার। সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. নুর মোহাম্মদ ও ডা. কৌশিক দত্ত।জন্মের পর মা ও নবজাতকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোররাত ও সকালে একে একে মৃত্যু হয় বাকি তিন নবজাতকেরও। পরিবারের পক্ষ থেকে ইয়াছমিনের আত্মীয় আবুল ফয়সাল ফাহিম এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, একসঙ্গে ৪টি প্রাণের আগমন আমাদের পরিবারের জন্য ছিল এক স্বপ্নের মতো। কিন্তু এই আনন্দ বেশিক্ষণ টিকেনি। আমরা শোকাহত। মা ইয়াছমিন আক্তার বর্তমানে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ হৃদয়বিদারক ঘটনা এলাকায় ব্যাপক শোক ও বিষাদের ছায়া ফেলেছে। স্থানীয়রা এ মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

নবজাতকেরদের পিতাপ্রবাসী রবিউল আলমের পরিবারে জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি ছিল যখন জানতে পারেন স্ত্রী ইয়াছমিন ৪টি সন্তানের মা হতে যাচ্ছে। সেই খবর রবিউল’কে নতুন আশার আলো দেখিয়েছিল। দূর প্রবাসে থাকলেও হৃদয়ে সেই মুহূর্তগুলো বারবার জেগে উঠছিল। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস, যে আনন্দ তাদের পরিবারে এসেছিল একসাথে, যা মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে চিরতরে থেমে গিয়ে বিষাদে পরিণত হলো।

Please Share This Post in Your Social Media

একে একে মৃত্যু বিষাদে পরিণত হলো উখিয়ায় জন্ম নেয়া ৪ সন্তান

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের মোছারখোলা এলাকার প্রবাসী রবিউল আলমের ঘরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে মারা গেছে একে-একে সব সন্তান। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো পরিবার ও এলাকায়।

গত মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রবাসী রবিউল আলমের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অস্ত্রোপচারটি পরিচালনা করেন গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. আরিফা মেহের রুমী ও ডা. মোসাম্মৎ রোকসানা আক্তার। সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. নুর মোহাম্মদ ও ডা. কৌশিক দত্ত।জন্মের পর মা ও নবজাতকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোররাত ও সকালে একে একে মৃত্যু হয় বাকি তিন নবজাতকেরও। পরিবারের পক্ষ থেকে ইয়াছমিনের আত্মীয় আবুল ফয়সাল ফাহিম এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, একসঙ্গে ৪টি প্রাণের আগমন আমাদের পরিবারের জন্য ছিল এক স্বপ্নের মতো। কিন্তু এই আনন্দ বেশিক্ষণ টিকেনি। আমরা শোকাহত। মা ইয়াছমিন আক্তার বর্তমানে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ হৃদয়বিদারক ঘটনা এলাকায় ব্যাপক শোক ও বিষাদের ছায়া ফেলেছে। স্থানীয়রা এ মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

নবজাতকেরদের পিতাপ্রবাসী রবিউল আলমের পরিবারে জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি ছিল যখন জানতে পারেন স্ত্রী ইয়াছমিন ৪টি সন্তানের মা হতে যাচ্ছে। সেই খবর রবিউল’কে নতুন আশার আলো দেখিয়েছিল। দূর প্রবাসে থাকলেও হৃদয়ে সেই মুহূর্তগুলো বারবার জেগে উঠছিল। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস, যে আনন্দ তাদের পরিবারে এসেছিল একসাথে, যা মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে চিরতরে থেমে গিয়ে বিষাদে পরিণত হলো।