ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা! বৈছাআ ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, রংপুরে ছুটে এলেন সারজিস দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে – পানি সম্পদ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে নিন্দা ও প্রতিবাদ এনসিপি’র যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ আগামী বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:১৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • / ৩২ Time View

ছবি: এএফপি

প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই বিমানের আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির নৌবাহিনী বলেছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পোহাং শহরের ঘাঁটি থেকে দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে নৌবাহিনীর পি-৩ প্যাট্রোল বিমানটি উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৌবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তে চার আরোহীর সবাই মারা গেছেন। তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তবে বিমান বিধ্বস্তের স্থানে বেসামরি বেসামরিক কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় দেশটির নৌবাহিনী একটি তদন্ত টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পাশাপাশি সাময়িকভাবে নৌবাহিনীর বহরে থাকা সব পি-৩ বিমানের উড্ডয়ন-অবতরণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

পোহাংয়ের জরুরি সেবাবিষয়ক কার্যালয় বলেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে একটি বিমান পাহাড়ি এলাকার ভবনের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি মোতায়েন করা হয়। বিধ্বস্তের পরপরই নৌবাহিনীর ওই বিমানে আগুন ধরে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলের আশপাশে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও জরুরি যানবাহন মোতায়েন রয়েছে। এ সময় সেখানে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিমানের ধ্বংসাবশেষে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ১৮১ আরোহীর মধ্যে মাত্র দু’জন বেঁচে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলোর একটি ছিল জেজু এয়ারের এ দুর্ঘটনা।

Please Share This Post in Your Social Media

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১১:১৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই বিমানের আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির নৌবাহিনী বলেছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পোহাং শহরের ঘাঁটি থেকে দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে নৌবাহিনীর পি-৩ প্যাট্রোল বিমানটি উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৌবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তে চার আরোহীর সবাই মারা গেছেন। তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তবে বিমান বিধ্বস্তের স্থানে বেসামরি বেসামরিক কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় দেশটির নৌবাহিনী একটি তদন্ত টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পাশাপাশি সাময়িকভাবে নৌবাহিনীর বহরে থাকা সব পি-৩ বিমানের উড্ডয়ন-অবতরণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

পোহাংয়ের জরুরি সেবাবিষয়ক কার্যালয় বলেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে একটি বিমান পাহাড়ি এলাকার ভবনের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি মোতায়েন করা হয়। বিধ্বস্তের পরপরই নৌবাহিনীর ওই বিমানে আগুন ধরে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলের আশপাশে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও জরুরি যানবাহন মোতায়েন রয়েছে। এ সময় সেখানে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিমানের ধ্বংসাবশেষে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ১৮১ আরোহীর মধ্যে মাত্র দু’জন বেঁচে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলোর একটি ছিল জেজু এয়ারের এ দুর্ঘটনা।