স্বৈরাচারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা : কিসের ভিত্তিতে এই নিয়োগ
- Update Time : ১০:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / ৪০৫ Time View
অতি সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ছিল জেলা কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কিন্তু এই জেলা কোটার ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষা হয়েছে স্বৈরাচার সরকারের আমলে। তখন নিয়োগ নিয়ে স্বচ্ছতা দেখানোর জন্য প্রার্থীদের পরীক্ষা হয়েছে বিচার প্রশাসন ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে। এই সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন আইন সচিব গোলাম সরোয়ার।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, পরীক্ষা নিল বিচার প্রশাসন ইন্সটিটিউট কিন্তু খাতা দেখলেন গোলাম সরোয়ারের অধীনস্থ আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এর ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করে বিচার প্রশাসন ইন্সটিটিউট। ইতোমধ্যে ভাইবা পরীক্ষার আগেই ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা নিয়োগের বিষয়ে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে জেলা কোটা বাতিল চেয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। তারা দুই সচিবের সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি অবহিত করেন। যে কোটার জন্য এতো রক্ত ঝরলো এবং সরকারের পতন হলো কর্মচারীদের দাবিকে উপেক্ষা করে সেই জেলা কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রকাশ করা হলো। এক্ষেত্রে খোদ আইন মন্ত্রণালয়েই আইন লংঘিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট মহল।
জানা গেছে, বিতর্কিত এই নিয়োগ নিয়ে নাকি বর্তমান আইন উপদেষ্টার সম্মতি আছে। প্রশ্ন উঠেছে, নিয়োগের সার্কুলার দিয়েছে পতিত স্বৈরাচার কিন্তু নিয়োগ দিলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এখন তো জেলা কোটা নেই তবে কিসের ভিত্তিতে এই নিয়োগ হলো?
মজার ব্যাপার হচ্ছে, উক্ত নিয়োগে ৭জন হিন্দু ছেলের চাকুরী হয়েছে। মোট নিয়োগ হয়েছে ২৪জন। তার মধ্যে ৭জনই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। এসব নিয়োগপ্রাপ্তরা অধিকাংশই গোপালগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোক।








































































































































































































