ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সালাহ উদ্দিন আহমেদ দেশের সম্পদ, তার বিরুদ্ধে কটুক্তি পরিহার করুন স্বৈরাচারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা : কিসের ভিত্তিতে এই নিয়োগ বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্তে নিয়োগ পাচ্ছেন বিতর্কিতরাও নিম্ন আদালতে নিয়োগ কেন্দ্রীয়ভাবে জেলা পর্যায়ে ক্ষমতা থাকছে না শালবন বাঁচাতে পরিবেশ উপদেষ্টার একগুচ্ছ ঘোষণা নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতিবান্ধব উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান আফ্রিকান ইউনিয়নের যুক্তরাষ্ট্র প্রচুর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করছে: ট্রাম্প চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, সংস্কার করতে চাচ্ছি: প্রেস সচিব সালাহউদ্দিনের গুম হওয়া নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাডার উন্মোচন করল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ৫১ Time View

ইরানের তৈরি রাডার সিস্টেম। ছবি : সংগৃহীত

পশ্চিমা নানা নিষেধাজ্ঞার মুখেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আবাদান বিমানবন্দরে নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাডার সিস্টেম ‘এমএসএসআর-মোড এস’ স্থাপন করেছে ইরান।

প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। রোববার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহর নিউজ।

ইরানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উন্নত রাডার সিস্টেমটি আঞ্চলিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

ইরান এয়ারপোর্টস অ্যান্ড এয়ার ন্যাভিগেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিরানি প্রেস টিভিকে জানান, সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই মনোপালস সেকেন্ডারি সার্ভেইলেন্স রাডার (এমএসএসআর) সিস্টেমটির নকশা ও উৎপাদনে ইসফাহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

তিনি বলেন, এই রাডার সিস্টেমটি দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ৪৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে নজরদারি করতে পারবে।

এই প্রকল্পে সরকার প্রায় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৭.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করেছে, যা আমদানি খরচের তুলনায় এক মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় করেছে বলে জানান আমিরানি।

তিনি বলেন, এই রাডার স্থাপন ইরানের বিমান চলাচল খাতে আত্মনির্ভরতা ও অগ্রগতির পথে একটি বড় মাইলফলক।

রাডার স্থাপনটি ইরানের বিমান পরিবহন খাতে দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি অংশ, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশি প্রযুক্তি ও বিনিয়োগে সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানি কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্রাউন্ড হওয়া এক ডজনের বেশি বিমান মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে এবং তারা বিদেশি এয়ারলাইনের জন্য ওভারহল ও ইন্সপেকশন সেবা দিচ্ছে।

২০২৪ সালের শেষ দিকে ইরানি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, বোয়িং ও এয়ারবাস বিমানের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের প্রযুক্তি তারা আয়ত্ত করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাডার উন্মোচন করল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৪১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পশ্চিমা নানা নিষেধাজ্ঞার মুখেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আবাদান বিমানবন্দরে নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাডার সিস্টেম ‘এমএসএসআর-মোড এস’ স্থাপন করেছে ইরান।

প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। রোববার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহর নিউজ।

ইরানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উন্নত রাডার সিস্টেমটি আঞ্চলিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

ইরান এয়ারপোর্টস অ্যান্ড এয়ার ন্যাভিগেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিরানি প্রেস টিভিকে জানান, সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই মনোপালস সেকেন্ডারি সার্ভেইলেন্স রাডার (এমএসএসআর) সিস্টেমটির নকশা ও উৎপাদনে ইসফাহান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

তিনি বলেন, এই রাডার সিস্টেমটি দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ৪৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে নজরদারি করতে পারবে।

এই প্রকল্পে সরকার প্রায় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৭.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করেছে, যা আমদানি খরচের তুলনায় এক মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় করেছে বলে জানান আমিরানি।

তিনি বলেন, এই রাডার স্থাপন ইরানের বিমান চলাচল খাতে আত্মনির্ভরতা ও অগ্রগতির পথে একটি বড় মাইলফলক।

রাডার স্থাপনটি ইরানের বিমান পরিবহন খাতে দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি অংশ, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশি প্রযুক্তি ও বিনিয়োগে সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানি কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্রাউন্ড হওয়া এক ডজনের বেশি বিমান মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে এবং তারা বিদেশি এয়ারলাইনের জন্য ওভারহল ও ইন্সপেকশন সেবা দিচ্ছে।

২০২৪ সালের শেষ দিকে ইরানি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, বোয়িং ও এয়ারবাস বিমানের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের প্রযুক্তি তারা আয়ত্ত করেছে।