কুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভার ‘ন্যাচার থ্রো মাই লেন্স’ ফটো কনটেস্টের পুরস্কার বিতরণ

- Update Time : ০৮:১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / ১৩৪ Time View
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে ‘হালিমা গ্রুপ প্রেজেন্টস, ন্যাচার থ্রো মাই লেন্স’ শীর্ষক ফটো কনটেস্টের ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সকলেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশবান্ধব চিন্তাধারা তুলে ধরতে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত প্রথম ২০ জনকে সনদ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে শীর্ষ ১০ জন প্রতিযোগিকে হালিমা গ্রুপের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়েছে।
ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি.এম মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিন বিনতে এনাম, প্রথম আলোর কুমিল্লা প্রতিনিধি আবদুর রহমান এবং হালিমা গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রূপম কান্তি দাশ।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি অন্তু চন্দ অর্ঘ্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আদনান আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি.এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে এই ছবির প্রতিযোগিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি দেখলাম শিক্ষার্থীরা জীবন্ত ছবি তুলেছে মুঠোফোন দিয়েই। ছবির মাধ্যমে শিল্প, প্রকৃতি ও মানুষের কথা প্রকাশ করা যায়। প্রথম আলো বন্ধুসভার এই আয়োজন নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটি চমৎকার মুহূর্ত এনে দিয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজন যদি আমাদের ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক হয় তাহলে আরও ভালোভাবে ক্যাম্পাসকে ফুটিয়ে তোলা যাবে। আমি আশাবাদী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকেই কেউ না কেউ জাতীয় পর্যায়ে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিন বিনতে এনাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রেই এগিয়ে নয়, বিভিন্ন ভালো কাজেও এগিয়ে রয়েছে। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে সবাই মুঠোফোনে ছবি তোলে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা খুবই ভালো ছবি তোলেন। ‘ন্যাচার থ্রো মাই লেন্স’- এই প্রতিযোহিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ছবিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার বিশ্বাস তাঁরা সামনে আরও ভালো করবে।’
এমন আয়োজনের জন্য বন্ধুসভাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হালিমা গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রূপম কান্তি দাশ বলেন, ‘আমরা এই আয়োজনে সহযাত্রী হিসেবে থাকতে পেরে আনন্দিত। হালিমা গ্রুপ শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করেই পণ্য প্রযুক্তিগত বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে। বন্ধুসভার এই আয়োজন একটি অনন্য উদ্যোগ। আমাদের চেয়াম্যান স্যার আবুল কালাম হাসান টগর আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামীতেও বন্ধুসভার ভালো কাজগুলোর সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবে হালিমা গ্রুপ।’
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি অন্তু চন্দ অর্ঘ্য বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টি হলো এই প্রকৃতি। যেভাবেই দেখা হোক না কেনো তার রূপের কোন শেষ নাই। আমাদের এই আয়োজনে আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ব্যাক্তির চোখে প্রকৃতির রূপ ফুটিয়ে তোলার জন্য। আর আমরা আশা করবো যাতে প্রকৃতির প্রতি সবাই সচেতন হন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষায় সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ‘‘ন্যাচার থ্রো মাই লেন্স” এর মাধ্যমে আমরা এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আদনান আলম বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও প্রকৃতির প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের আয়োজন করতে চাই যাতে শিক্ষার্থীরা ক্যামেরার লেন্সে প্রকৃতিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার সুযোগ পান এবং নিজেদের ফটোগ্রাফিক দক্ষতা প্রকাশ করতে সক্ষম হন।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম আলো বন্ধুসভা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন গ্রুপে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগীরা ছবি আপলোড করতে শুরু করেন, যা চলে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জমা পড়া শতাধিক ছবির মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে সেরা ২০টি ছবি নির্বাচিত করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।