ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টা আপনার আশপাশের কুলাঙ্গারদের অপসারণ করুন : ইশরাক

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / ২৭ Time View

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, আপনার আশপাশে যে কুলাঙ্গাররা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অপসারণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ওনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা বলতে চাই, আপনার আশপাশে যে কুলাঙ্গাররা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের আপনি অপসারণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন যার অধীনে নির্বাচন হবে। অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চাই, শুনতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক দল; যারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। হাইকোর্টের আদেশ শোনার পর দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আপাতত আমার আন্দোলন স্থগিত রাখব। সরকারকে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে, তারা কী করে, তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কার্যক্রমের নির্দেশনা আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমি আসার সময় আমাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। হাইকোর্টে একটি ভুয়া রিট, বলা যায় সেই রিট দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে মেয়র পদে শপথ করানো থেকে বাধাগ্রস্ত করানোর একটা অপচেষ্টা করা হয়েছিল। সব শেষে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যেহেতু আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমরা আশা রাখব বর্তমান সরকার আর একদিনও কালক্ষেপণ না করে, অবিলম্বে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তাদের আগামী দিনের এজেন্ডা জনগণের কাছে ফুটিয়ে তুলে ধরবে। আজ যেহেতু আমরা রায়টি পেয়েছি, যদি সরকার আবারও টালবাহানা করে, তাহলে কালকে সকালে আমরা আবার এখানে এসে ঘেরাও দেব।

ইশরাক হোসেন বলেন, এই কর্মসূচির ফলে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। জনগণ দুর্ভোগে পড়ে। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকে। নাগরিক বিভিন্ন সভা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। সেটার জন্য আমাদের নেতা এবং আমি সাধারণ জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। শুরুতে কিন্তু আমাদের আন্দোলনের পরিকল্পনা ছিল না। বর্তমান সরকার অধিকার বঞ্চিত করতে গিয়ে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায়, তখন আমরা বাধ্য হয়ে এ ধরনের কর্মসূচিতে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নেই।

তিনি বলেন, গতকাল আমি বলেছিলাম, বর্তমান সরকারের ভেতরে যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছে, যারা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সমর্থক এবং সরাসরি সংগঠক হিসেবে কাজ করছে। তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন শেষ হবে না, এই ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি আমার ঘোষণাকে পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

তিনি আরও বলেন, রায় এবং শপথ আলাদা বিষয়, এটা হয়ে যাওয়া মানে প্রথম যে দাবিটি করেছিলাম, ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্য প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করতে হবে, সেটা কিন্তু পরিবর্তন হবে না। সেই দাবি সেই দাবির জায়গায় থাকবে, হয়তোবা সরকারের সঙ্গে আমাদের উচ্চপর্যায়ের নেতারা আলাপ-আলোচনা করে এটি সমাধানের চেষ্টা করবেন। তখন যদি না হয় আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি মন্তব্য করে ইশরাক বলেন, আমরা একটা একটা ধাপ পার হয়ে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এই কাজ করতে গিয়ে যদি সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে হয়, তাহলে তৃণমূলের বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এই কৃতিত্ব দিতে হয়। তারা কষ্ট করে আন্দোলনকে সংগঠিত করেছে। যে আন্দোলনে ঢাকাবাসী অংশগ্রহণ করে সরকারকে বাধ্য করেছে তাদের জায়গা থেকে সরে আসতে। আমরা সরকারকে পর্যবেক্ষণে রাখব। তারা ধানের শীষের প্রার্থীর সঙ্গে এখন কী ধরনের আচরণ করে সেটি দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তকর লেখা লেখছে। পোস্ট দিচ্ছে। ভুল আইনি ব্যাখ্যা দিচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রধান উপদেষ্টা আপনার আশপাশের কুলাঙ্গারদের অপসারণ করুন : ইশরাক

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৭:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, আপনার আশপাশে যে কুলাঙ্গাররা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অপসারণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ওনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা বলতে চাই, আপনার আশপাশে যে কুলাঙ্গাররা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের আপনি অপসারণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন যার অধীনে নির্বাচন হবে। অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চাই, শুনতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক দল; যারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। হাইকোর্টের আদেশ শোনার পর দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আপাতত আমার আন্দোলন স্থগিত রাখব। সরকারকে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে, তারা কী করে, তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কার্যক্রমের নির্দেশনা আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমি আসার সময় আমাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। হাইকোর্টে একটি ভুয়া রিট, বলা যায় সেই রিট দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে মেয়র পদে শপথ করানো থেকে বাধাগ্রস্ত করানোর একটা অপচেষ্টা করা হয়েছিল। সব শেষে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যেহেতু আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমরা আশা রাখব বর্তমান সরকার আর একদিনও কালক্ষেপণ না করে, অবিলম্বে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তাদের আগামী দিনের এজেন্ডা জনগণের কাছে ফুটিয়ে তুলে ধরবে। আজ যেহেতু আমরা রায়টি পেয়েছি, যদি সরকার আবারও টালবাহানা করে, তাহলে কালকে সকালে আমরা আবার এখানে এসে ঘেরাও দেব।

ইশরাক হোসেন বলেন, এই কর্মসূচির ফলে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। জনগণ দুর্ভোগে পড়ে। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকে। নাগরিক বিভিন্ন সভা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। সেটার জন্য আমাদের নেতা এবং আমি সাধারণ জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। শুরুতে কিন্তু আমাদের আন্দোলনের পরিকল্পনা ছিল না। বর্তমান সরকার অধিকার বঞ্চিত করতে গিয়ে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায়, তখন আমরা বাধ্য হয়ে এ ধরনের কর্মসূচিতে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নেই।

তিনি বলেন, গতকাল আমি বলেছিলাম, বর্তমান সরকারের ভেতরে যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছে, যারা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সমর্থক এবং সরাসরি সংগঠক হিসেবে কাজ করছে। তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন শেষ হবে না, এই ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি আমার ঘোষণাকে পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

তিনি আরও বলেন, রায় এবং শপথ আলাদা বিষয়, এটা হয়ে যাওয়া মানে প্রথম যে দাবিটি করেছিলাম, ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্য প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করতে হবে, সেটা কিন্তু পরিবর্তন হবে না। সেই দাবি সেই দাবির জায়গায় থাকবে, হয়তোবা সরকারের সঙ্গে আমাদের উচ্চপর্যায়ের নেতারা আলাপ-আলোচনা করে এটি সমাধানের চেষ্টা করবেন। তখন যদি না হয় আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি মন্তব্য করে ইশরাক বলেন, আমরা একটা একটা ধাপ পার হয়ে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এই কাজ করতে গিয়ে যদি সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে হয়, তাহলে তৃণমূলের বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এই কৃতিত্ব দিতে হয়। তারা কষ্ট করে আন্দোলনকে সংগঠিত করেছে। যে আন্দোলনে ঢাকাবাসী অংশগ্রহণ করে সরকারকে বাধ্য করেছে তাদের জায়গা থেকে সরে আসতে। আমরা সরকারকে পর্যবেক্ষণে রাখব। তারা ধানের শীষের প্রার্থীর সঙ্গে এখন কী ধরনের আচরণ করে সেটি দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তকর লেখা লেখছে। পোস্ট দিচ্ছে। ভুল আইনি ব্যাখ্যা দিচ্ছে।