ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

স্টারলিংক সংযোগ নেবেন যেভাবে খরচ যত পড়বে

প্রযুক্তি ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:১৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ৬১ Time View

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক।

আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই সেবার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সব জায়গায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (২০ মে) প্রতিষ্ঠানটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

একই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্টারলিংক ব্যবহারে খরচ নিয়ে পোস্টে ফাইজ তাইয়েব আহমেদ লিখেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টার্লিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। তবে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

 

বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।

খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এর সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রচলিত ইন্টারনেট ব্যবস্থায় যেমন তারের ব্যবহার প্রচুর, তেমনি সরকারি নিয়ন্ত্রণও অনেক বেশি। দুর্গম অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছানো বেশ কঠিন কাজ।

খরচও বেড়ে যায় বহু গুণে। আর ঠিক এ কারণেই মরুভূমি বা সমুদ্রের মতো অঞ্চলে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তবে এসব সমস্যা সমাধানে দারুণ এক সমাধান স্যাটেলাইট ইন্টারনেট। ভূপৃষ্ঠে থাকা গ্রাউন্ড স্টেশন, পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইট ও রিসিভার অ্যান্টেনার মাধ্যমে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

পৃথিবীর কক্ষপথে থাকায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যেকোনো দুর্গম স্থানে সংকেত পাঠানো যায়। তাই যেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছাতে পারে না, সেখানেও সহজে পাওয়া যায় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট।

এ প্রযুক্তিতে সফলভাবে বর্তমানে পৃথিবীর ১০০টিরও বেশি দেশে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে স্টারলিংক। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ঘুরছে প্রতিষ্ঠানটির হাজারো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ।

প্রায় ৭ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ জালের মতো ঘিরে রেখেছে পৃথিবীকে। স্টারলিংক ইন্টারনেটের পুরো প্রক্রিয়ায় তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাউন্ড স্টেশন, স্যাটেলাইট ও রিসিভার অ্যান্টেনা।
পৃথিবীতে অবস্থিত গ্রাউন্ডে স্টেশনের মাধ্যমে এর স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক যুক্ত থাকে মূল ইন্টারনেটের সঙ্গে। স্যাটেলাইট থেকে সংকেত গ্রহণ করে তা ফাইবার অপটিকস কেবলের মাধ্যমে যুক্ত ডেটা সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়।

আবার ডেটা সেন্টারের সার্ভার থেকে থেকে ডেটা এনে তা স্যাটেলাইটে পাঠায়।
এসব স্যাটেলাইট পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশন ও অ্যান্টেনার সঙ্গে যেমন যোগাযোগ রাখে, তেমনি নিজেদের মধ্যেও সার্বক্ষণিক সংকেত আদান প্রদান করে। এভাবে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত তথ্য হাজির করে।

বাংলাদেশের গ্রাহকরা স্টারলিংকের সংযোগ পেতে সরাসরি স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট starlink.com এ গিয়ে অর্ডার দিতে পারবেন। অর্ডার করতে প্রথমে আপনার ঠিকানা দিয়ে সেখানে এই সেবা পৌঁছাবে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর একটি সার্ভিস প্ল্যান বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

স্টারলিংক সংযোগের জন্য স্ট্যান্ডার্ড কিটে থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল। এটি সেটআপ করা অত্যন্ত সহজ। প্রয়োজনীয় সংযোগ দিয়ে স্যাটেলাইট ডিশটির ফাঁকা জায়গায় আকাশের দিকে মুখে করে স্থাপন করতে হবে। হার্ডওয়্যার কিট কিনতে হবে এককালীন ৪৭ হাজার টাকায়।

স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য তারা দুটি প্যাকেজ দিচ্ছে। প্রথমটি স্টারলিংক ‘রেসিডেনশিয়াল’। এর জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ৬ হাজার টাকা। আর ‘রেসিডেনশিয়াল লাইট’র জন্য মাসে খরচ হবে ৪ হাজার ২০০ টাকা।

এ ছাড়া যেকোনো স্থানে ঘুরতে গেলে বা চলন্ত অবস্থায় স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করতে ‘রোম’ প্যাকেজ ব্যবহার করা যাবে। এর জন্য প্রতি মাসে দিতে হবে নূন্যতম ছয় হাজার টাকা। ‘রোম’র ছয় হাজার টাকার প্যাকেজে ৫০ জিবি পর্যন্ত ডেটা পাওয়া যাবে। আর আনলিমিটেড ডেটার জন্য নিতে হবে ১২ হাজার টাকার ‘রোম আনলিমিটেড’ প্যাকেজটি।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও রয়েছে স্টারলিংকের বিভিন্ন প্যাকেজ। স্টারলিংকের লোকাল প্রায়োরিটি প্যাকেজের ৫০ জিবির মূল্য ৪ হাজার ৬০০ টাকা, ৫০০ জিবির মূল্য ১১ হাজার ৮০০ টাকা এবং ১ টেরাবাইটের মূল্য ২০ হাজার ৮০০ টাকা।

এছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য স্টারলিংকের গ্লোবাল প্রায়োরিটি প্যাকেজের ৫০ জিবির মূল্য ৩২ হাজার টাকা, ৫০০ জিবির মূল্য ৮৪ হাজার টাকা এবং ১ টেরাবাইটের মূল্য ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্টারলিংক সংযোগ নিয়ে ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা ‘সন্তোষজনক’ মনে না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

‘স্টারলিংকের প্রতিটি ডিভাইসের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে’

Please Share This Post in Your Social Media

স্টারলিংক সংযোগ নেবেন যেভাবে খরচ যত পড়বে

প্রযুক্তি ডেস্ক
Update Time : ০৪:১৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক।

আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই সেবার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সব জায়গায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (২০ মে) প্রতিষ্ঠানটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

একই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্টারলিংক ব্যবহারে খরচ নিয়ে পোস্টে ফাইজ তাইয়েব আহমেদ লিখেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টার্লিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। তবে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

 

বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।

খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এর সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রচলিত ইন্টারনেট ব্যবস্থায় যেমন তারের ব্যবহার প্রচুর, তেমনি সরকারি নিয়ন্ত্রণও অনেক বেশি। দুর্গম অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছানো বেশ কঠিন কাজ।

খরচও বেড়ে যায় বহু গুণে। আর ঠিক এ কারণেই মরুভূমি বা সমুদ্রের মতো অঞ্চলে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড বা মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তবে এসব সমস্যা সমাধানে দারুণ এক সমাধান স্যাটেলাইট ইন্টারনেট। ভূপৃষ্ঠে থাকা গ্রাউন্ড স্টেশন, পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইট ও রিসিভার অ্যান্টেনার মাধ্যমে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

পৃথিবীর কক্ষপথে থাকায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যেকোনো দুর্গম স্থানে সংকেত পাঠানো যায়। তাই যেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছাতে পারে না, সেখানেও সহজে পাওয়া যায় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট।

এ প্রযুক্তিতে সফলভাবে বর্তমানে পৃথিবীর ১০০টিরও বেশি দেশে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে স্টারলিংক। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ঘুরছে প্রতিষ্ঠানটির হাজারো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ।

প্রায় ৭ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ জালের মতো ঘিরে রেখেছে পৃথিবীকে। স্টারলিংক ইন্টারনেটের পুরো প্রক্রিয়ায় তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাউন্ড স্টেশন, স্যাটেলাইট ও রিসিভার অ্যান্টেনা।
পৃথিবীতে অবস্থিত গ্রাউন্ডে স্টেশনের মাধ্যমে এর স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক যুক্ত থাকে মূল ইন্টারনেটের সঙ্গে। স্যাটেলাইট থেকে সংকেত গ্রহণ করে তা ফাইবার অপটিকস কেবলের মাধ্যমে যুক্ত ডেটা সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়।

আবার ডেটা সেন্টারের সার্ভার থেকে থেকে ডেটা এনে তা স্যাটেলাইটে পাঠায়।
এসব স্যাটেলাইট পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশন ও অ্যান্টেনার সঙ্গে যেমন যোগাযোগ রাখে, তেমনি নিজেদের মধ্যেও সার্বক্ষণিক সংকেত আদান প্রদান করে। এভাবে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত তথ্য হাজির করে।

বাংলাদেশের গ্রাহকরা স্টারলিংকের সংযোগ পেতে সরাসরি স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট starlink.com এ গিয়ে অর্ডার দিতে পারবেন। অর্ডার করতে প্রথমে আপনার ঠিকানা দিয়ে সেখানে এই সেবা পৌঁছাবে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। তারপর একটি সার্ভিস প্ল্যান বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

স্টারলিংক সংযোগের জন্য স্ট্যান্ডার্ড কিটে থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল। এটি সেটআপ করা অত্যন্ত সহজ। প্রয়োজনীয় সংযোগ দিয়ে স্যাটেলাইট ডিশটির ফাঁকা জায়গায় আকাশের দিকে মুখে করে স্থাপন করতে হবে। হার্ডওয়্যার কিট কিনতে হবে এককালীন ৪৭ হাজার টাকায়।

স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য তারা দুটি প্যাকেজ দিচ্ছে। প্রথমটি স্টারলিংক ‘রেসিডেনশিয়াল’। এর জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ৬ হাজার টাকা। আর ‘রেসিডেনশিয়াল লাইট’র জন্য মাসে খরচ হবে ৪ হাজার ২০০ টাকা।

এ ছাড়া যেকোনো স্থানে ঘুরতে গেলে বা চলন্ত অবস্থায় স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করতে ‘রোম’ প্যাকেজ ব্যবহার করা যাবে। এর জন্য প্রতি মাসে দিতে হবে নূন্যতম ছয় হাজার টাকা। ‘রোম’র ছয় হাজার টাকার প্যাকেজে ৫০ জিবি পর্যন্ত ডেটা পাওয়া যাবে। আর আনলিমিটেড ডেটার জন্য নিতে হবে ১২ হাজার টাকার ‘রোম আনলিমিটেড’ প্যাকেজটি।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও রয়েছে স্টারলিংকের বিভিন্ন প্যাকেজ। স্টারলিংকের লোকাল প্রায়োরিটি প্যাকেজের ৫০ জিবির মূল্য ৪ হাজার ৬০০ টাকা, ৫০০ জিবির মূল্য ১১ হাজার ৮০০ টাকা এবং ১ টেরাবাইটের মূল্য ২০ হাজার ৮০০ টাকা।

এছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য স্টারলিংকের গ্লোবাল প্রায়োরিটি প্যাকেজের ৫০ জিবির মূল্য ৩২ হাজার টাকা, ৫০০ জিবির মূল্য ৮৪ হাজার টাকা এবং ১ টেরাবাইটের মূল্য ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্টারলিংক সংযোগ নিয়ে ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা ‘সন্তোষজনক’ মনে না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

‘স্টারলিংকের প্রতিটি ডিভাইসের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে’