ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক মেয়র আইভী আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তার

আইন-আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:৫২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / ৮ Time View

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাসহ আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ শনিবার (১৭ মে) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে তার নিজ বাড়ি থেকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফাইল ছবি

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে শুনানির জন্য আবেদন করেন। শুনানিতে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন সেলিনা হায়াৎ। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে করা মোট পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদিন জানান, সেলিনা হায়াৎকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যাসহ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

সাবেক মেয়রের আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আইভী দলমত-নির্বিশেষে সবার জনপ্রিয় সাবেক মেয়র। তিনি আন্দোলনে কখনো মাঠে নামেননি। তাকে সব কটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। এতে আমাদের আইনিপ্রক্রিয়া চালাতে সহজ হবে।’

এর মধ্যে একটি মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।

শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে বাদীর স্বামী রিকশাচালক তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাটি করেন।

অন্য মামলার এজাহারে বলা হয়, একই দিন (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হকার নাদিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়।

এ ঘটনায় নাদিমের বাবা দুলাল হোসেন বাদী হয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দায়ের করেন মামলাটি।

Please Share This Post in Your Social Media

সাবেক মেয়র আইভী আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তার

আইন-আদালত ডেস্ক
Update Time : ০৩:৫২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাসহ আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ শনিবার (১৭ মে) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে তার নিজ বাড়ি থেকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফাইল ছবি

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে শুনানির জন্য আবেদন করেন। শুনানিতে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন সেলিনা হায়াৎ। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে করা মোট পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদিন জানান, সেলিনা হায়াৎকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যাসহ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

সাবেক মেয়রের আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আইভী দলমত-নির্বিশেষে সবার জনপ্রিয় সাবেক মেয়র। তিনি আন্দোলনে কখনো মাঠে নামেননি। তাকে সব কটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। এতে আমাদের আইনিপ্রক্রিয়া চালাতে সহজ হবে।’

এর মধ্যে একটি মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।

শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে বাদীর স্বামী রিকশাচালক তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাটি করেন।

অন্য মামলার এজাহারে বলা হয়, একই দিন (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হকার নাদিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়।

এ ঘটনায় নাদিমের বাবা দুলাল হোসেন বাদী হয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দায়ের করেন মামলাটি।