ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজও ঢাকায় সড়ক অবরোধ, সকাল থেকেই ভোগান্তিতে নগরবাসী

রাজধানী ডেস্ক
  • Update Time : ০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ১৫ Time View

আবাসন, বৃত্তি, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গুলিস্তানে নগরভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এতে এসব এলাকায় তীব্র জানজটের কারণে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সড়ক বন্ধ থাকায় হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষেরা।

বেলা বাড়ার সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে বাড়ছে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান। সকাল থেকেই বাসে করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে আরও জোরদার হচ্ছে আন্দোলন।

নির্দিষ্ট সময় পর পর একে একে কাকরাইল মোড়ে প্রবেশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। শিক্ষার্থীরা নেমেই যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনে। সহপাঠীদের আগমনের জয়ধ্বনি দিচ্ছেন অন্য শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, সকাল থেকেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের যোগ দেয়ার জন্য ক্যাম্পাসে বাসে করে আসছেন, আরো আসবেন। এছাড়া ঢাকার অন্যান্য জায়গা থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শফিকুল ইসলাম জানান বলেন, বৃহস্পতিবার মানেই বাড়তি চাপ। এদিন এমনিতেই সড়কে তীব্র চাপ তৈরি হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থানে সড়কে যানচলাচল বন্ধ। যে কারণে সড়কে সকাল থেকেই চাপ। সে চাপ অধিকাংশ স্থানে যানজট তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, অফিসগামী যাত্রী, পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় বিভিন্ন পয়েন্টে ডাইভারশন করা হয়েছে। গুলিস্তান-মতিঝিল গন্তব্য হলে নীলক্ষেত নিউমার্কেট সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলামোটর-হেয়ার রোড দিয়ে ডাইভারশন করা হয়েছে। কাকরাইলের সড়ক ক্লিয়ার করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শুনছেন না। বরং আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। যানজট ভোগান্তিতে পড়া নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ও ডাইভারশন মেনে চলাচল অনুরোধ করা হচ্ছে।

পুলিশের হামলার বিচার ও তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা। দুপুরে লংমার্চটি কাকরাইলে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। তখন থেকেই কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদির বলেন, কাকরাইল মোড়ে অন্তত অর্ধশত আন্দোলনকারী আছেন। তারা রাতভর এখানে অবস্থান করেছেন। কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এখানকার সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখানে তৈরি হয়েছে যানজট। দাবি পূরণ না হাওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। বুধবার দুপুর ১২টার পর কাকরাইল মসজিদ এলাকায় লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পুলিশসহ শতাধিক আহত হন। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এর আগে বিকেলে আটটি বাসে কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীনও।

গুলিস্তানে নগরভবনের সামনে ২য় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চলছে: সংগৃহীত ছবি

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গুলিস্থানে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে ২য় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এতে গুলিস্থান মাজারের দিক থেকে বঙ্গবাজারের দিকের সড়কের দুপাশে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা বলেছেন, ইশরাকের শপথ নিয়ে নানা টাল বাহানা করা হচ্ছে। শপথের মাধ্যমে ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়ায় আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকাবাসীর ব্যানারে হাজারো মানুষ গুলিস্তানে নগরভবনের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ান। পরে লোকসমাগম বেশি হলে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।

বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সকাল ৯টা থেকে সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানী আগারগাঁও, মহাখালী, উড়োজাহাজ ক্রসিং, বিজয় সরণি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মালিবাগ, কাকরাইল মোড়, গুলিস্তান, মতিঝিলজুড়ে কোথাও তীব্র যানজট কোথাও গাড়ির চাপ রয়েছে। অনেক স্থানের যাত্রীদেরকে বাস থেকে নেমে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হেঁটে যেতে দেখা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

আজও ঢাকায় সড়ক অবরোধ, সকাল থেকেই ভোগান্তিতে নগরবাসী

রাজধানী ডেস্ক
Update Time : ০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

আবাসন, বৃত্তি, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বসানোর দাবিতে গুলিস্তানে নগরভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এতে এসব এলাকায় তীব্র জানজটের কারণে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সড়ক বন্ধ থাকায় হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষেরা।

বেলা বাড়ার সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে বাড়ছে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান। সকাল থেকেই বাসে করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে আরও জোরদার হচ্ছে আন্দোলন।

নির্দিষ্ট সময় পর পর একে একে কাকরাইল মোড়ে প্রবেশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। শিক্ষার্থীরা নেমেই যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনে। সহপাঠীদের আগমনের জয়ধ্বনি দিচ্ছেন অন্য শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, সকাল থেকেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের যোগ দেয়ার জন্য ক্যাম্পাসে বাসে করে আসছেন, আরো আসবেন। এছাড়া ঢাকার অন্যান্য জায়গা থেকেও শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শফিকুল ইসলাম জানান বলেন, বৃহস্পতিবার মানেই বাড়তি চাপ। এদিন এমনিতেই সড়কে তীব্র চাপ তৈরি হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থানে সড়কে যানচলাচল বন্ধ। যে কারণে সড়কে সকাল থেকেই চাপ। সে চাপ অধিকাংশ স্থানে যানজট তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, অফিসগামী যাত্রী, পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় বিভিন্ন পয়েন্টে ডাইভারশন করা হয়েছে। গুলিস্তান-মতিঝিল গন্তব্য হলে নীলক্ষেত নিউমার্কেট সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলামোটর-হেয়ার রোড দিয়ে ডাইভারশন করা হয়েছে। কাকরাইলের সড়ক ক্লিয়ার করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শুনছেন না। বরং আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। যানজট ভোগান্তিতে পড়া নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ও ডাইভারশন মেনে চলাচল অনুরোধ করা হচ্ছে।

পুলিশের হামলার বিচার ও তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা। দুপুরে লংমার্চটি কাকরাইলে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। তখন থেকেই কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদির বলেন, কাকরাইল মোড়ে অন্তত অর্ধশত আন্দোলনকারী আছেন। তারা রাতভর এখানে অবস্থান করেছেন। কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এখানকার সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখানে তৈরি হয়েছে যানজট। দাবি পূরণ না হাওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। বুধবার দুপুর ১২টার পর কাকরাইল মসজিদ এলাকায় লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পুলিশসহ শতাধিক আহত হন। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এর আগে বিকেলে আটটি বাসে কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীনও।

গুলিস্তানে নগরভবনের সামনে ২য় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চলছে: সংগৃহীত ছবি

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গুলিস্থানে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে ২য় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এতে গুলিস্থান মাজারের দিক থেকে বঙ্গবাজারের দিকের সড়কের দুপাশে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা বলেছেন, ইশরাকের শপথ নিয়ে নানা টাল বাহানা করা হচ্ছে। শপথের মাধ্যমে ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়ায় আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকাবাসীর ব্যানারে হাজারো মানুষ গুলিস্তানে নগরভবনের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ান। পরে লোকসমাগম বেশি হলে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।

বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সকাল ৯টা থেকে সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানী আগারগাঁও, মহাখালী, উড়োজাহাজ ক্রসিং, বিজয় সরণি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মালিবাগ, কাকরাইল মোড়, গুলিস্তান, মতিঝিলজুড়ে কোথাও তীব্র যানজট কোথাও গাড়ির চাপ রয়েছে। অনেক স্থানের যাত্রীদেরকে বাস থেকে নেমে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হেঁটে যেতে দেখা যায়।