ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে প্রকল্পের মাটি বিক্রির অভিযোগ

গিয়াস রনি, নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / ১৩ Time View

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড কেগনায় সরকারি বাস্তহারা প্রকল্পের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১২ মে) সকালে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হেদায়েত উল্যাহ ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় মাটি মতিন ও হাসেম আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বসতঘরসহ আশেপাশের জায়গার মাটি জোর করে কেটে নিয়ে যায়। এতে আমার ঘর যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। তিনি প্রশাসনের কাছে মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রতিবেশী আবু তালেব, মো.স্বপন, আব্দর রহিম।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তার বলেন, কেগনা আশ্রয়ণটা হচ্ছে সরকারি খাস জমি। আশ্রয়ণ প্রকল্পটা যেখানে হয়েছে সেখানে একটি পুকুর আছে। পাশে ছোট একটি পরিবার থাকে। ওখানে কিছু খালি খাস জায়গা আছে। ওই জায়গার মাটি থেকে নিয়ে আমরা পরিবার গুলোর জন্য কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করতেছি।

ইউএনও আরো বলেন, সরকারি খাস জমির মাটি সরকারি খাস জমিতে ফেলে খবরস্থান এবং শ্মশান বানানো হচ্ছে। যিনি সংবাদ সম্মেলন করেছে তিনি নিজেই কেগনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেখানে একটি দোকান ঘর নিয়ে দোকানদারি করেন। তিনি নিজেই সেখানে অবৈধ ভাবে থাকতেছেন। সংবাদ সম্মেলন কিজন্য করেছেন আমি জানিনা। আব্দুল মতিন এটার সাথে জড়িত নেই। এটা পিআইওর একটা প্রকল্প দিয়ে কাজটা করা হচ্ছে। ওকে আমি তুলে দিবো। ওখানে সে অবৈধ ভাবে দোকানদারি করতেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

নোয়াখালীতে প্রকল্পের মাটি বিক্রির অভিযোগ

গিয়াস রনি, নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড কেগনায় সরকারি বাস্তহারা প্রকল্পের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১২ মে) সকালে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হেদায়েত উল্যাহ ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় মাটি মতিন ও হাসেম আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বসতঘরসহ আশেপাশের জায়গার মাটি জোর করে কেটে নিয়ে যায়। এতে আমার ঘর যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। তিনি প্রশাসনের কাছে মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রতিবেশী আবু তালেব, মো.স্বপন, আব্দর রহিম।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তার বলেন, কেগনা আশ্রয়ণটা হচ্ছে সরকারি খাস জমি। আশ্রয়ণ প্রকল্পটা যেখানে হয়েছে সেখানে একটি পুকুর আছে। পাশে ছোট একটি পরিবার থাকে। ওখানে কিছু খালি খাস জায়গা আছে। ওই জায়গার মাটি থেকে নিয়ে আমরা পরিবার গুলোর জন্য কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করতেছি।

ইউএনও আরো বলেন, সরকারি খাস জমির মাটি সরকারি খাস জমিতে ফেলে খবরস্থান এবং শ্মশান বানানো হচ্ছে। যিনি সংবাদ সম্মেলন করেছে তিনি নিজেই কেগনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেখানে একটি দোকান ঘর নিয়ে দোকানদারি করেন। তিনি নিজেই সেখানে অবৈধ ভাবে থাকতেছেন। সংবাদ সম্মেলন কিজন্য করেছেন আমি জানিনা। আব্দুল মতিন এটার সাথে জড়িত নেই। এটা পিআইওর একটা প্রকল্প দিয়ে কাজটা করা হচ্ছে। ওকে আমি তুলে দিবো। ওখানে সে অবৈধ ভাবে দোকানদারি করতেছে।