আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছে চীন ও পাকিস্তান

- Update Time : ১০:১২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / ৩২ Time View
পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং চীনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আঞ্চলিক পুনর্বিন্যাস এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পটি আফগানিস্তানে সম্প্রসারণের বিষয়ে একমত হয়েছে তিন দেশ।
খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
সূত্র জানিয়েছে, কৌশলগত দিক থেকেও একমত হয়েছে যে, যদি এই জোট সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে আফগানিস্তানে ভারতীয় প্রভাব কেবল কূটনৈতিক মিশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি চীনের বিশেষ দূত ইউ জিয়াওয়ং এবং পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদিকের মধ্যে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আফগান তালেবানরা ২২ এপ্রিলের পহেলগাম ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের বিষয়ে ইসলামাবাদের অবস্থানকে নীরবে সমর্থন করেছে এবং ভারতীয় ক্লাব থেকে তাদের দূরত্ব বজায় রাখবে।
শুক্রবার এবং শনিবারের একাধিক বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আফগান তালেবানরা কাবুলে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ষষ্ঠ দফা আলোচনার আয়োজন করবে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, তালেবানের নেতৃত্বে এটিই হবে প্রথম উচ্চস্তরের আলোচনা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন ও পাকিস্তান দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় পশ্চিমা প্রভাবকে উপেক্ষা করে আফগানিস্তানের সঙ্গে গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্যও সমর্থন জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, চীন আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমর্থন করবে; যা সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত থাকবে।
চলমান ত্রিপক্ষীয় আলোচনার অংশ হিসেবে, পাকিস্তানের বিশেষ দূত আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী আজিজির সঙ্গে বৈঠকে চীনা বিশেষ প্রতিনিধির সাথে যোগ দেন।
বিশেষ দূত বৈঠকগুলোকে গঠনমূলক এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক বলে অভিহিত করেছেন।
এই তিন পক্ষ ২০২৩ সালের মে মাসে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় এফএম-স্তরের সমঝোতা, বিশেষ করে আফগানিস্তানে সিপিইসি সম্প্রসারণের বিষয়ে সমঝোতা গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে।