ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএসসি কৃষিবিদদের ছয় দফা দাবিতে উপাচার্যের পূর্ণ সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / ৩৪ Time View

বিএসসি কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় ও বৈষম্য নিরসনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘ডিপ্লোমাধারীদের দেওয়া দাবির বিপরীতে তোমাদের দাবি যথেষ্ট যৌক্তিক। তোমাদের ৬ দফার স্মারকলিপি উদ্ধর্তন কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এছাড়া কৃষিবিদদের অস্তিত্ব রক্ষায় যেকোনো সমযোগিতায় পাশে আছি।’

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টায় বিএসসি কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় ও বৈষম্য নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৬ দফা দাবির স্মারকলিপি দেওয়াকালীন এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের দাবি আদায়ে আমরা তো সহযোগিতা করবো সাথে সাথে সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি কমন প্ল্যাটফর্মের এসে জোরালো আন্দোলন করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিতে হবে’

এসময়ে শিক্ষার্থীরা বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের চলমান অন্যায়ের কথা জানান তাকে। সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৭৪ জনকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হতে ‘সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা’ পদে পদায়ন করা হয়। যা বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চরম অন্যায় ও ভবিষ্যৎ অশনি সংকেত বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আরও জানান যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১৭৪ জনের এই নিয়োগ বাতিল না করে তাহলে দেশব্যাপী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রে তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিবে ।

কৃষিবিদদের অধিকার আদায়ে শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তা হলো-:

১। ডি.এ. ই,বিএডিসি সহ অন্যান্য সব গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেড (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

২। ডি.এ. ই ও অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ৯ম ও অন্যান্য গ্রেডে নিয়মিত রি-ভিজিট ও পদবৃদ্ধি করতে হবে।

৩। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত ৯ম গ্রেডে (বিএডিসি এর কোটা বাতিল) পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে স্বতন্ত্র পদসোপান / প্রচলিত কাঠামো রাখতে হবে।

৪। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন কোন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। । এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন

৫। কৃষি/কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে “কৃষিবিদ” পদবী ব্যবহার করা যাবে না জারি করতে হবে।

৬। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (ডি.এ. ই) এর অধীনেই রাখতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএসসি কৃষিবিদদের ছয় দফা দাবিতে উপাচার্যের পূর্ণ সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস

সাঈদা জাহান খুকী, বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

বিএসসি কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় ও বৈষম্য নিরসনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘ডিপ্লোমাধারীদের দেওয়া দাবির বিপরীতে তোমাদের দাবি যথেষ্ট যৌক্তিক। তোমাদের ৬ দফার স্মারকলিপি উদ্ধর্তন কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এছাড়া কৃষিবিদদের অস্তিত্ব রক্ষায় যেকোনো সমযোগিতায় পাশে আছি।’

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টায় বিএসসি কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় ও বৈষম্য নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৬ দফা দাবির স্মারকলিপি দেওয়াকালীন এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের দাবি আদায়ে আমরা তো সহযোগিতা করবো সাথে সাথে সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি কমন প্ল্যাটফর্মের এসে জোরালো আন্দোলন করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিতে হবে’

এসময়ে শিক্ষার্থীরা বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের চলমান অন্যায়ের কথা জানান তাকে। সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৭৪ জনকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হতে ‘সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা’ পদে পদায়ন করা হয়। যা বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চরম অন্যায় ও ভবিষ্যৎ অশনি সংকেত বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আরও জানান যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১৭৪ জনের এই নিয়োগ বাতিল না করে তাহলে দেশব্যাপী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রে তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিবে ।

কৃষিবিদদের অধিকার আদায়ে শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তা হলো-:

১। ডি.এ. ই,বিএডিসি সহ অন্যান্য সব গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেড (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

২। ডি.এ. ই ও অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ৯ম ও অন্যান্য গ্রেডে নিয়মিত রি-ভিজিট ও পদবৃদ্ধি করতে হবে।

৩। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত ৯ম গ্রেডে (বিএডিসি এর কোটা বাতিল) পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে স্বতন্ত্র পদসোপান / প্রচলিত কাঠামো রাখতে হবে।

৪। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন কোন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। । এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন

৫। কৃষি/কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে “কৃষিবিদ” পদবী ব্যবহার করা যাবে না জারি করতে হবে।

৬। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (ডি.এ. ই) এর অধীনেই রাখতে হবে।