ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

রংপুরে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা 

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২২২ Time View

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়ায় স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সোনা মিয়া নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে উপজেলার হারাগাছ খানসামা ইমামগঞ্জ স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোনা মিয়া (৫৫) উপজেলার হারাগাছের নাজিরদহ এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি হারাগাছ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। এদিকে সোনা মিয়া নিহত হওয়া খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরলে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয়পক্ষে দশজন আহত হয় ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপজেলার ইমামগঞ্জ স্কুল মাঠে আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। সেখানে সোনা মিয়া ও তার ভাই মুকুল মিয়া বিভিন্ন স্লোগান দেয়া শুরু করলে আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের লোকজনদের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা বাঁধে। কারণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের নাম নিয়ে মুকুল ও সোনা মিয়া স্লোগানে দেননি। এনিয়ে সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা করে দুই পক্ষের লোকজন। পরে রাতে সোনা মিয়াকে বাজারে একা দেখতে পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার বড়ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের নেতৃত্বে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এরপরই রাতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছোট ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা আলমগীর হোসেন জানান, বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে স্লোগান দেয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এদিকে ধরে রাত আটটার দিকে আবার চাচা সোনা মিয়াকে ইমামগঞ্জ স্কুলের সামনে একা পেয়ে আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে চাচার মৃত্যু হয়।

এদিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাসির বিল্লাহ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

এছাড়া ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা 

Update Time : ০৮:০১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়ায় স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সোনা মিয়া নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে উপজেলার হারাগাছ খানসামা ইমামগঞ্জ স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোনা মিয়া (৫৫) উপজেলার হারাগাছের নাজিরদহ এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি হারাগাছ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। এদিকে সোনা মিয়া নিহত হওয়া খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরলে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয়পক্ষে দশজন আহত হয় ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে উপজেলার ইমামগঞ্জ স্কুল মাঠে আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। সেখানে সোনা মিয়া ও তার ভাই মুকুল মিয়া বিভিন্ন স্লোগান দেয়া শুরু করলে আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের লোকজনদের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা বাঁধে। কারণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের নাম নিয়ে মুকুল ও সোনা মিয়া স্লোগানে দেননি। এনিয়ে সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা করে দুই পক্ষের লোকজন। পরে রাতে সোনা মিয়াকে বাজারে একা দেখতে পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তার বড়ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের নেতৃত্বে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এরপরই রাতে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছোট ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা আলমগীর হোসেন জানান, বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে স্লোগান দেয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এদিকে ধরে রাত আটটার দিকে আবার চাচা সোনা মিয়াকে ইমামগঞ্জ স্কুলের সামনে একা পেয়ে আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে চাচার মৃত্যু হয়।

এদিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাসির বিল্লাহ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

এছাড়া ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।