ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই ছাত্র হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা তারেক আজিজ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে কৃষি বাজার মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন আলাদা বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন: প্রধান বিচারপতি এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয় : কামাল আহমেদ অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন অপসারণে হাইকোর্টের রুল মোবাইল নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে ভাইরাল কাউন্টি ক্রিকেটার হ্যাকারের কবলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ ১৯ বছর পালিয়েও হলো না শেষ রক্ষা, অতঃপর র‌্যাবের জালে ধরা গাঁজা চাষ ও সেবনের বৈধতা চেয়ে মেক্সিকোতে বিশাল র‍্যালি আফতাবনগরে বসানো যাবে না পশুর হাট: হাইকোর্ট

এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয় : কামাল আহমেদ

জাতীয়
  • Update Time : ০৪:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / ১৫ Time View

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানিয়েছেন, এখনো সাংবাদিকরা গালাগালের শিকার হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

রোববার (০৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে ‘সাহসী নতুন বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোডম্যাপ সংস্কার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কামাল আহমেদ বলেন, ন্যায্য পারিশ্রমিক ও নীতিগত সহায়তা সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত জরুরি। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম উভয়ে আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যা তাদের আপস করতে বাধ্য করছে।

সংবাদমাধ্যমকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে বলছেন, সংবাদমাধ্যমকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের যে প্রস্তাব কমিশন করেছে, তা অবাস্তব। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম লাভ করতে পারছে না বা রুগণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব গণমাধ্যম কোম্পানির মধ্যে যাদের হিসাব রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির দপ্তর থেকে পাওয়া গেছে, তার আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় দেড় ডজনের বেশি সংবাদমাধ্যম লাভজনক, যা প্রমাণ করে- এ ধরনের রূপান্তর মোটেও অযৌক্তিক নয় এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মূল সমস্যা হলো বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যেনতেনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বা বিভিন্ন স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছে। পাঠক বা শ্রোতা আকৃষ্ট করতে না পারলেও তারা টিকে থাকার চেষ্টায় বিজ্ঞাপনের দরে অস্বাভাবিক হারে ছাড় দিয়ে পুরো খাতের ক্ষতি করছে।

গণমাধ্যমের সেলফ সেন্সরশিপ বিষয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সেলফ সেন্সরশিপ ও সাংবাদিকদের ওপর বেশিরভাগ হামলার পেছনে এখানে কাজ করছে সামাজিক মাধ্যমে হুমকি এবং কথিত মব ভায়োলেন্স। সরকারের এগুলো কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণের কথা থাকলেও তা দেখা যাচ্ছে না।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস, টিআইবি ও সুইডেন দূতাবাস। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

Please Share This Post in Your Social Media

এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয় : কামাল আহমেদ

জাতীয়
Update Time : ০৪:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানিয়েছেন, এখনো সাংবাদিকরা গালাগালের শিকার হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

রোববার (০৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে ‘সাহসী নতুন বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোডম্যাপ সংস্কার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কামাল আহমেদ বলেন, ন্যায্য পারিশ্রমিক ও নীতিগত সহায়তা সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত জরুরি। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম উভয়ে আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যা তাদের আপস করতে বাধ্য করছে।

সংবাদমাধ্যমকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে বলছেন, সংবাদমাধ্যমকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের যে প্রস্তাব কমিশন করেছে, তা অবাস্তব। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম লাভ করতে পারছে না বা রুগণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এসব গণমাধ্যম কোম্পানির মধ্যে যাদের হিসাব রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির দপ্তর থেকে পাওয়া গেছে, তার আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় দেড় ডজনের বেশি সংবাদমাধ্যম লাভজনক, যা প্রমাণ করে- এ ধরনের রূপান্তর মোটেও অযৌক্তিক নয় এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মূল সমস্যা হলো বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যেনতেনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বা বিভিন্ন স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছে। পাঠক বা শ্রোতা আকৃষ্ট করতে না পারলেও তারা টিকে থাকার চেষ্টায় বিজ্ঞাপনের দরে অস্বাভাবিক হারে ছাড় দিয়ে পুরো খাতের ক্ষতি করছে।

গণমাধ্যমের সেলফ সেন্সরশিপ বিষয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সেলফ সেন্সরশিপ ও সাংবাদিকদের ওপর বেশিরভাগ হামলার পেছনে এখানে কাজ করছে সামাজিক মাধ্যমে হুমকি এবং কথিত মব ভায়োলেন্স। সরকারের এগুলো কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণের কথা থাকলেও তা দেখা যাচ্ছে না।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস, টিআইবি ও সুইডেন দূতাবাস। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।