শেকৃবি ছাত্রদলের প্রতিবাদলিপি
টিএসসি সার্বক্ষণিক খোলা ও সংগঠনের কার্যালয় বরাদ্দের দাবি পুনরুত্থাপন

- Update Time : ০৭:৫০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / ৮০ Time View
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শেকৃবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সার্বক্ষণিক খোলা রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্যে কার্যালয় বরাদ্দের দাবি পুনরায় জোরালোভাবে উত্থাপন করেছে শেকৃবি ছাত্রদল।
শুক্রবার (২ মে) প্রশাসনের কাছে এক প্রতিবাদলিপিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া ৩৬ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখিত এ দাবিটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এতে তারা প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করে বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক ও পরিতাপের’ বলে আখ্যা দেয়।
ছাত্রদলের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অবকাঠামো – খেলার মাঠ, অডিটোরিয়াম ও টিএসসি – নিয়মিতভাবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, এমনকি ক্লাস ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও। ভাড়াটিয়াদের অসচেতন আচরণের কারণে মাদক সেবন, উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো ও হুল্লোড়ের মতো কর্মকাণ্ড শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, চাকরির প্রস্তুতি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে দাবি করেন তারা।
ছাত্রদল এই পরিস্থিতিকে “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য হুমকি” হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। একইসাথে পূর্বের দাবি অনুযায়ী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিএসসি সার্বক্ষণিক খোলা রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত সকল সংগঠনের জন্য অফিস কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবিও জোরালোভাবে পুনরায় উত্থাপন করেছে সংগঠনটি।
সম্প্রতি টিএসসি ভাড়া দেওয়া নিয়ে মাইলস্টোন কলেজের একটি অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। আজ শনিবার, ৩ মে, উক্ত অনুষ্ঠানের শেষ অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে একটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। তবে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষিতে শেষ মুহূর্তে কনসার্টটি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি আহমেদুল কবীর তাপস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজন – রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যাচ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে যদি প্রশাসন বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্থান বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে সেটি সবার জন্যই গ্রহণযোগ্য হতো। এইযে সকলের সমালোচনার মুখে আয়োজনের শেষ মুহূর্তে মাইলস্টোন কলেজের কনসার্ট বন্ধ হলো এটাও তাদের জন্যও অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে আমরাও তাদের সহযোগিতা করতে পারতাম। আমরা অনেক আগে থেকেই প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর জন্যে বারবার রুম বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু প্রশাসন কর্ণপাত করছে না।”