ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লোহাগাড়ায় অস্ত্র ও লুন্ঠিত মালামালসহ ডাকাত দম্পতি আটক শাহজাহান চৌধুরীর সাথে স্বাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর জুলি ভারবার্গ রংপুরে ৫টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা টাঙ্গাইল শহরের প্রবেশ দ্বারে ময়লার ভাগার, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহিলারা সবচাইতে ভালো থাকবে পুলিশের চেকপোস্টে পিস্তল-গুলি ফেলে পালাল সন্ত্রাসী রিফিউজি জীবন চাই না, নিজভূমিতে ফিরতে চাই উখিয়ায় ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান: আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার নিজ দলের লোকই বিএনপির কাছে নিরাপদ নয় – ফজলুল করিম বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হকের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

অস্ট্রেলিয়ায় চলছে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ

আন্তর্জাতিক
  • Update Time : ০৩:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / ৩৩ Time View

অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, তবে ট্রাম্পের কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা ভোটারদের মানসিকতায় তৈরি করেছে দ্বিধা।

শনিবার (৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকরা।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারসংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ। এর আগেই রেকর্ড ৮০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ছিল প্রধান ইস্যু, কিন্তু নির্বাচনের শেষদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতিগত অস্থিরতাই বড় হয়ে ওঠে।

বিরোধী নেতা পিটার ডাটনকে অনেকে বলছেন ‘ট্রাম্প লাইট’, আর ধনকুবের ক্লাইভ পামার খুলেছেন ‘ট্রাম্পেট অব প্যাট্রিয়ট’ নামের ট্রাম্প-অনুপ্রাণিত দল।

নির্বাচনে দুই বড় দলই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া-সংক্রান্ত চাপের বিষয়টিকে তাদের প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছে। তবে জনমত জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, সেটি দ্রুত অস্ট্রেলিয়ার ভোটারদের কাছে নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে।

জরিপ অনুযায়ী, আলবানিজ শক্তিশালী প্রচার চালালেও লেবার পার্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য নির্ভর করতে হতে পারে ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনের ওপর।

শুক্রবার দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত জনমত জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ ও লিবারেল ন্যাশনাল জোট ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাবে।

প্রতিনিধি পরিষদের ১৫০টি আসনের সবকটিতেই এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনে আজ নির্বাচন হচ্ছে। দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দল দুটি: অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি এবং রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন।

কোন দলের সরকার গঠনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ৭৬টি আসন পেতে হবে। সেটি সম্ভব না হলে দলগুলো বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ছোটদলগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

অস্ট্রেলিয়ায় চলছে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ

আন্তর্জাতিক
Update Time : ০৩:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, তবে ট্রাম্পের কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা ভোটারদের মানসিকতায় তৈরি করেছে দ্বিধা।

শনিবার (৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকরা।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারসংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ। এর আগেই রেকর্ড ৮০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ছিল প্রধান ইস্যু, কিন্তু নির্বাচনের শেষদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতিগত অস্থিরতাই বড় হয়ে ওঠে।

বিরোধী নেতা পিটার ডাটনকে অনেকে বলছেন ‘ট্রাম্প লাইট’, আর ধনকুবের ক্লাইভ পামার খুলেছেন ‘ট্রাম্পেট অব প্যাট্রিয়ট’ নামের ট্রাম্প-অনুপ্রাণিত দল।

নির্বাচনে দুই বড় দলই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া-সংক্রান্ত চাপের বিষয়টিকে তাদের প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছে। তবে জনমত জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, সেটি দ্রুত অস্ট্রেলিয়ার ভোটারদের কাছে নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে।

জরিপ অনুযায়ী, আলবানিজ শক্তিশালী প্রচার চালালেও লেবার পার্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য নির্ভর করতে হতে পারে ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনের ওপর।

শুক্রবার দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত জনমত জরিপ অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ ও লিবারেল ন্যাশনাল জোট ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাবে।

প্রতিনিধি পরিষদের ১৫০টি আসনের সবকটিতেই এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনে আজ নির্বাচন হচ্ছে। দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দল দুটি: অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি এবং রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন।

কোন দলের সরকার গঠনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ৭৬টি আসন পেতে হবে। সেটি সম্ভব না হলে দলগুলো বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ছোটদলগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।