ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে – পানি সম্পদ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে নিন্দা ও প্রতিবাদ এনসিপি’র যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ আগামী বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ভাবির কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন দেবর ইলন মাস্ককে বড় সোনার চাবি উপহার দিলেন ট্রাম্প মানুষ চিনতে ভুল করেছে বিএনপি: গয়েশ্বর

সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি

আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫৫ Time View

সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজটি (একটিভলি) সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সুপ্রীম কোর্টের মূল ভবন এবং এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব দুটি টয়লেট চালু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন ও এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি আজ এ কথা বলেন।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলামের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাধারণ বিচারপ্রার্থী যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্টে আসেন ইতঃপূর্বে তাদের সুবিধার জন্য পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুটো ডেডিকেটেড স্থানে পুরুষ, মহিলা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য টয়লেট চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি  ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সুপ্রীম কোর্টের অনুমোদনক্রমে ব্রাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধান বিচারপতি জনাব ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নবনির্মিত এ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।

এসময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক জনাব আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি এ উদ্যোগকে জনগণের প্রতি  সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ ও একটি মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেন। সেই সাথে ব্র্যাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি।’

এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় বিচার বিভাগ নিয়ে তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞাসহ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১,১৫,১৯,২৭,২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের মর্মানুসারে প্রত্যেক নাগরিকের সম্মানজনক জীবনযাপন, সমান অধিকার, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও রাষ্ট্রীয় সেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার রয়েছে।

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে আদালতে প্রাঙ্গণে অনেক সময়েই নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই প্রবেশাধীকার নানা কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের কারণে সহজলভ্য নয়। ফলে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও অন্ত্ররভুক্তিমূলক টয়লেট সুবিধার অভাব অনেক সময় নারীদের ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থিতি ও ন্যায়বিচার পাওয়ার পথকে দুরূহ করে তোলে।

তারই প্রেক্ষাপটে, নব্য চালুকৃত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্বলিত এই টয়লেট দুটি বিচারাঙ্গনের বিভিন্ন সুবিধাকে আরো মানবিক, সম্মানজনক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক করে গড়ে তোলার একটি প্রতিকি পদক্ষেপ।

এই প্রকল্পটি ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এটি বিচারপ্রার্থীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে আরো অন্তর্ভূক্তিমূলক বিচারিক পরিবেশ তৈরি করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি

আদালত ডেস্ক
Update Time : ০২:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজটি (একটিভলি) সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সুপ্রীম কোর্টের মূল ভবন এবং এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব দুটি টয়লেট চালু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন ও এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি আজ এ কথা বলেন।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলামের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাধারণ বিচারপ্রার্থী যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্টে আসেন ইতঃপূর্বে তাদের সুবিধার জন্য পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুটো ডেডিকেটেড স্থানে পুরুষ, মহিলা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য টয়লেট চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি  ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সুপ্রীম কোর্টের অনুমোদনক্রমে ব্রাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধান বিচারপতি জনাব ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নবনির্মিত এ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।

এসময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক জনাব আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি এ উদ্যোগকে জনগণের প্রতি  সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ ও একটি মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেন। সেই সাথে ব্র্যাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি।’

এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় বিচার বিভাগ নিয়ে তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞাসহ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১,১৫,১৯,২৭,২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের মর্মানুসারে প্রত্যেক নাগরিকের সম্মানজনক জীবনযাপন, সমান অধিকার, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও রাষ্ট্রীয় সেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার রয়েছে।

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে আদালতে প্রাঙ্গণে অনেক সময়েই নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই প্রবেশাধীকার নানা কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের কারণে সহজলভ্য নয়। ফলে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও অন্ত্ররভুক্তিমূলক টয়লেট সুবিধার অভাব অনেক সময় নারীদের ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থিতি ও ন্যায়বিচার পাওয়ার পথকে দুরূহ করে তোলে।

তারই প্রেক্ষাপটে, নব্য চালুকৃত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্বলিত এই টয়লেট দুটি বিচারাঙ্গনের বিভিন্ন সুবিধাকে আরো মানবিক, সম্মানজনক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক করে গড়ে তোলার একটি প্রতিকি পদক্ষেপ।

এই প্রকল্পটি ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এটি বিচারপ্রার্থীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে আরো অন্তর্ভূক্তিমূলক বিচারিক পরিবেশ তৈরি করবে।