রংপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আট নেতা বহিষ্কার

- Update Time : ০২:২০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ৯ Time View
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য রংপুরে বিএনপি ও যুবদলের আট নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতকৃরা হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির মানিক এবং সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক, উপজেলার ১০ নম্বর মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক, ১৩ নম্বর কালুপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুল হক এবং ১৪ নম্বর বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত আরেক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বদরগঞ্জ পৌর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. সুমন সরদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক কয়েলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার বদরগঞ্জে ভাড়াটিয়া ও দোকান মালিকের দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লাভলু মিয়া নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয় অন্তত ১৫ জন।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার বিকেলে বিএনপির ৩ নেতার বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের অভিযোগ এনে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি।
এ তিন নেতা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল হক মানিক ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক।
জেলা বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে জানানো হয়, দায়িত্বশীল পদে থাকার পরেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দখলদারিত্ব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিসহ তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। যার সাক্ষী জেলা বিএনপির কাছে আছে এবং উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে পৌরশহরের শহীদ মিনার এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পৌর এলাকায়। ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়