তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের উপর তাগিদ

- Update Time : ১১:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০ Time View
চীনা অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে রংপুরে মতবিনিময় সভা হয়েছে।
রোববার(৬ এপ্রিল) সকালে রংপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের ব্যানারে ‘প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তাগিদ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। আটকে থাকা তিস্তা মহাপরিকল্পনা নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। এটি নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমরা চাই চীনের সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। উত্তরের কৃষি, মৎস, পরিবেশ, বাস্তুসংস্থান, দারিদ্রতা ও বেকারত্বকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের মত করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা হওয়া উচিত।
ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চীনের স্বল্পমেয়াদী ঋণ, উচ্চহারে সুদ, গ্রেস অব পিরিয়ড কম থাকার চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সেই সাথে চীনের মাধ্যমে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বাস্তবতা আছে কিনা সে জায়গায় প্রশ্ন রয়েছে।
ঢাবির এই শিক্ষক বলেন, আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে জাপান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মত ঋণ দাতাদের সাথে কথা এগিয়ে নেওয়া উচিত। সেই সাথে যমুনা সেতুর মত প্রয়োজনে সারচার্জ, বন্ডের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমরা তিন বছরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবতা দেখতে চাই।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ বাজেট বৈষম্যের শিকার। বিগত দিনে তিস্তা নদীর পানি বন্টনের দর কষাকষির সুযোগ হারিয়ে ফেলেছি। এখন শুধুমাত্র মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আমাদের হাতে রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের সাথে তিস্তা পানি নিয়ে দর কষাকষি করতে না পারলে আমরা সর্বশেষ সুযোগ হারাবো।
মতবিনিময় সভায় রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়