ডিবি হেফাজতে থাকা আলালের লাশ মিলল হাসপাতালে

- Update Time : ১১:১৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
- / ২৪৬ Time View
রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকার একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জুন রাজধানীর বাউনিয়া থেকে আলাল দেওয়ান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল শনিবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মিলেছে তাঁর লাশ। স্বজনদের অভিযোগ, ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের কারণে আলাল মারা গেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বাউনিয়ার একটি বাসায় ৫ জুন এক নারী খুন হন। ঐ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একমাত্র আসামি ওই নারীর স্বামী সাইফুল ইসলাম রানা।
আলাল দেওয়ান ছিলেন সেই বাড়ির কেয়ারটেকার। ৬ জুন সন্ধ্যায় মহিষাগার এলাকা থেকে আলালকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
আলালকে ডিবি পুলিশ তুলে আনার সময় তাঁর ফুফাতো ভাই নেয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তুরাগ থানা-পুলিশ আমার ভাই আলালকে প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছুই পায়নি। এরপর ৬ জুন সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ একটি হাইয়েস গাড়িতে করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ডিবির এসআই নাসির আমাকে তাঁর নম্বরও দিয়ে যান। এরপর থেকে আমরা ওই নম্বরে ফোন দিলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) পঙ্গু হাসপাতালে থেকে আমাদের এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানান আলাল অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এরপর আমরা তাঁকে বলি হাসপাতালে আসবো নাকি।তিনি বলেন, না, রোববার কোর্টে গেলেই পাবেন। পরদিন শুক্রবার শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আনোয়ার আমাদের ফোন দিয়ে জানান, আলাল হৃদ্রোগ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। আমরা লাশ দেখতে গিয়ে দেখি তাঁর হাত-পা ভাঙা।’
নেয়াজ উদ্দিন বলেন, সুস্থ মানুষ আলালকে নিয়ে গেল পুলিশের গাড়িতে। তাঁর হাত-পা ভাঙল কীভাবে? কীভাবে তিনি মারা গেলেন? পুলিশই তাঁকে মেরে ফেলেছে।
এদিকে ডিবি পুলিশ আলালকে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ডিএমপি ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, তুরাগ থানা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত বাড়ির কেয়ারটেকার আলাল উদ্দিন। হত্যা করার সময় ওই নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পায়ে আঘাত পান আলাল। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় স্বীকারও করেন তিনি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়