পৈত্রিক জমি বিক্রয়ের টাকা নিয়ে বিপাকে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল

- Update Time : ০৫:৫০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / ১১ Time View
গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম পৈত্রিক জমি বিক্রয়ের টাকা নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
টাকা সহ বাড়ি ফেরার সময় নাটোরের চলনবিল গেটে পুলিশি তল্লাশিতে তার প্রাইভেট কারটি জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেয় সিংড়া থানা পুলিশ। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার।
তবে তল্লাশি চলাকালের সময় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবেই পরিচয় দেন এবং তল্লাশির আগে প্রাইভেট কারে থাকা টাকাগুলোর বৈধতা নিশ্চিত করেন বলে তিনি জানান।
প্রাইভেট কারে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা ছিল বলে সূত্র থেকে জানা যায়।
এরই মধ্যে পুলিশের তল্লাশির ছবি এবং নানান মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলেছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাহী প্রকৌশলীর ঘনিষ্ঠ জানায়, গত শুক্রবার তিনি তার নিজ নামীয় জমি বিক্রির টাকাগুলো হাতে পাওয়ায় গ্রামের বাড়ি থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নাটোর-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চলনবিলের গেটে তল্লাশির কবলে পড়ে তার প্রাইভেট কার।
নির্বাহী প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তল্লাশির আগেই তিনি তার গাড়ীতে থাকা পৈত্রিক জমি বিক্রয়ের টাকা থাকার বিষয়টি পুলিশদের নিশ্চিত করেছেন বলে তিনি জানান।
টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় চেকপোস্টে তল্লাশির দায়িত্বে থাকা পুলিশরা তড়িঘড়ি করে টাকাগুলো কোথায় তা জেনে বের করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে অবগত করেন। পরে প্রাইভেটকারসহ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিংড়া থানায় নেয়া হয় এবং টাকাগুলোর বৈধতা নিশ্চিত তথ্য চেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে গাইবান্ধা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয়ের টাকা এবং মেটলাইফ ইন্সুইরেন্সে জমানো টাকাসহ রাজশাহীতে ফেরার পথে চলন বিল এলাকায় পুলিশ আমার গাড়ীর গতি থামিয়ে পরিচয়সহ গন্তব্য জানতে চায় এবং তল্লাশির আগেই গাড়ীতে থাকা আমার বৈধ টাকার বিষয়টি তাদের জানানোর পরে আচমকাই তাদের মধ্যে পৈত্রিক জমি বিক্রয়ের টাকা নিয়ে নানাবিধ কথা চলতে থাকে। সেই সাথে টাকা গাড়ির কোথায় রেখেছি সে তথ্যও তাদের বলেছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো যেখানে জেলা শহরে এক শতাংশ জমির দাম ২০ লক্ষাধিক টাকা সেখানে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির টাকা ৩৬-৩৭ লাখ মোটেও অস্বাভাবিক পরিমাণ হতে পারে না। আমাকে নিয়ে অন্যথায় বিরুপ মন্তব্যে সত্যিই আমি মর্মাহত।
সচেতনমহল বলছেন, টাকার পরিমাণ নিয়ে যেখানে নানান আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে সেখানে বিভাগীয় জেলা শহরের মধ্যে জমির দাম কেমন হবে সেটাও চিন্তার বিষয়। প্রকৌশলী যেহেতু জানালেন তাঁর জমি বিক্রয়ের টাকা সেটা নিয়ে বিশ্লেষণ এবং নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়া অহেতুক চর্চা করা বোকামির শামিল।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়