কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

- Update Time : ০৫:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / ৩২ Time View
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সরকারি আইন অনুযায়ী বহির্বিভাগের টিকিটের মূল্য ৩ টাকা হলেও প্রতি রোগী থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫ টাকা।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে হাসপাতালের দালাল ও স্টাফদের হাতে অপমান এবং লাঞ্ছিত হতে হয় রোগীদের। প্রতি বছর হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট বাবদ বাণিজ্য হচ্ছে লাখ টাকারও বেশি। দীর্ঘদিন এ অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁর স্বজনদের।
রোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ মার্চ শনিবার সকাল ১২ টায় বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়,বহির্বিভাগে টিকিট কাউন্টারের সামনে রোগীদের ভীড় । আর ভীড়ে থাকা রোগীরা কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করছে। তাদের মধ্যে কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা জানান টিকিটের মূল্য দিতে হয় ৫ টাকা করে।
এ সময় দেখা যায় টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালে হারবাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আলমগীর হোসেন প্রতি টিকিটে জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে নিচ্ছেন। ৫ টাকা রাখার বিষয় জিজ্ঞেস করলে আলমগীর হোসেন বলেন দুই টাকা খুচরা দেয়া সম্ভব নয় তাই ৫ টাকা করে রাখা হচ্ছে। কেউ আবার ২টাকা ফিরত না নিয়ে চলে যায়।
এ সময় কথা হয় পুটিমারী ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রিয়াজ উদ্দিন ও সোহাগীর সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, হামরা মুর্খ মানুষ টিকিটের মুল্য কয়টাকা হামরা কি জানি। দুখান টিকিট ১০ টাকা নিছে মোরটে। টিকিট যদি ৩টাকা হয় তাহলে মোরটে দুখান টিকিট দিয়া ক্যানে ১০ টাকা নিছে। এগুলো কি দেখার কায়ও নাই।
কিশোরগঞ্জ সদর থেকে আসা আবুল কালাম ও জাকারিয়া বলেন, আমি ১০ টাকার নোট দিয়েছি আমাকে ৫ টাকা ফিরত দিয়েছে। ৫ টাকার একটাও কম নেয়নি।
হাসপাতাল সূত্র মতে, প্রতিদিন গড়ে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৫০-৪০০ রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। সে হিসাবে প্রতি রোগী থেকে অতিরিক্ত দুই টাকা হারে মাসে ২০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে আদায় করা হয়। উদ্বৃত্ত টাকার একটি অংশ হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তারা ভাগ করে নেয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: নীল রতন দেব বলেন, বহির্বিভাগের টিকিট প্রতি তিন টাকা নেয়ার কথা। যদি টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত টাকা কেউ নিয়ে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন,অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি নতুন এসেছি। খবর নিয়ে দেখছি।