বাকৃবিতে বাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা

- Update Time : ১১:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৩১ Time View
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের দাবিতে সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা ব্যানারে ছাত্রসমাবেশ ও সদস্য ফর্ম বিতরণ কর্মসূচি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাকৃবি শাখা। বাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে বাকৃবি শাখা ছাত্রদলকে সংস্কারের উদ্দেশ্যে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্ত্বরে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম। এছাড়াও বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক মো. এ এম শোয়াইব এবং তরিকুল ইসলাম তুষারসহ দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা এসে সমাবর্তন চত্বরে সমবেত হতে থাকেন। এসময় তারা বাকৃবি ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির বিভিন্ন নেতার নামে স্লোগানও দিতে থাকেন। সমাবর্তন চত্বরের সম্মুখে গোল হয়ে বসে তারা ছাত্রদল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কার্যক্রম এবং বাকসু নির্বাচন নিয়ে একটি আলোচনা সভা করে।
কর্মশালায় শ্যামল মালুম বলেন, ৫ ই আগস্টের আগে যে ধারার রাজনীতি চলতো পরেও যদি একই ধারার রাজনীতি চলে তাহলে এই গণঅভ্যুত্থান অর্থ হারাবে। আমরা এই বিপ্লবের নাম দিয়েছি ছাত্র গণঅভ্যুত্থান। তাই ছাত্রদের রক্তে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশ রক্ষা করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব। পূর্ববর্তী স্বৈরাচার দলের পরিণতি দেখে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের এক তৃতীয়াংশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের। তবে আমরা এগুলো নিয়ে কথা তেমন বলি না। কারণ এ আন্দোলন দেশের সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন ছিলো।
তিনি আরও বলেন, মধুর ক্যান্টিনকে বলা হয় ছাত্র রাজনীতির আতুরঘর। স্বৈরাচার পতনের পরে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমরা এখনও ওই ক্যান্টিনে গিয়ে বসি নাই। কারণ পূর্ববর্তী দল যা যা বিশৃঙ্খলামূলক কাজ করেছে তা আমরা করতে চাই না। দেশে লুটতরাজের রাজনীতি আমরা চাই না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে তা আমরা চাই না। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে হলে দেশের সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য প্রয়োজন। আমরা মানুষকে সুযোগ দিতে চাই, যে তারা কাকে চান এবং কাকে চান না। মানুষের গণতন্ত্র চর্চার অধিকার হরণের শক্তি কারো নেই। আমরা গোপনে বা গুপ্তসংগঠনের মতো কোনো কাজ করব না। আমরা দিনের আলোর মতো প্রকাশ্য কার্যক্রম করতে চাই। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
পরবর্তীতে উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা, নিরাপত্তা ও নেতাকর্মীদের দায়িত্বের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আতিকুর রহমান জানান, বাকৃবি ছাত্রদল সংগঠিত হওয়ার জন্য যেভাবে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছি ঠিক সেইভাবেই শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করে যাব। গণমানুষের অধিকার রক্ষার জন্য সব ধরনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন করে এসেছি। ছাত্রদল একদিনেই সংগঠিত হয়নি। বাকৃবি ছাত্রদলকে সংগঠিত করার জন্য তিনবেলার পরিবর্তে একবেলা খেয়েছি, মুড়ির সাথে লেবুর পাতা দিয়ে খেয়ে মিছিল করেছি, আন্দোলন করেছি। ছাত্রদলকে সুগঠিত করে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছি। মেধাবী ও মননশীলদের সংগঠন ছাত্রদল। এই সংগঠন সর্বদা ক্যাম্পাসমুখী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যারা রাজপথে থাকতে চায়, আন্দোলন করতে চায় তাদের জন্যই ছাত্রদল।