ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরও ৫ জনের, নতুন শনাক্ত ১১৩৯ দাবি না মানলে যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ আট ইসলামী দলের আ.লীগের নাশকতা ঠেকাতে ১৩ নভেম্বর রাজপথে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ; গাজীপুর-৬ আসন বহাল রাখার দাবি ৪৯তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের গণিতে প্রথম কুবির অলি উল্লাহ শয়তানের নিশ্বাস প্রয়োগ করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়া চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নিয়ে আসলে কী বলেছেন মির্জা ফখরুল অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত হবেন না: মির্জা ফখরুল দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর সহকারী সচিব ও উপসচিবের মাস্তানি

যেভাবে সৃষ্টি হলো কালজয়ী ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৪৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১১৮ Time View

গত শনিবার পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার রচিত ও গাওয়া বেশ কিছু গান মানুষের ঠোঁটে ঘুরেফিরে। এর মধ্যে প্রধান ‘আমি বাংলায় গান গাই’। মনের অজান্তে এ গান কণ্ঠে তুললেও, অনেকেই এর জন্মকথা জানেন না।

চলুন জেন নিই কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল গানটি। প্রতুল মুখোপাধ্যায় জীবদ্দশায় গানটি রচনার পেছনের গল্প জানিয়েছিলেন। স্মৃতির ঝাঁপি খুলে এই শিল্পী বলেন, “১৪০০ সালের পয়লা বৈশাখকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। কফি হাউজের একটা অনুষ্ঠানে আমার গাওয়ার কথা ছিল। তো আমি অফিসের কাজ নিয়েই বসেছিলাম। একটা রিপোর্ট লিখতে হচ্ছিল। সেটা করতে করতেই মাথার মধ্যে গানের বিষয়টিও চলছিল। একটা জায়গায় কথাগুলো লিখছিলাম। অনেকটা সেই রামপ্রসাদের মতো আর কী!

প্রথম লাইনটা এলো, ‘আমি বাংলায় গান গাই, বাংলার গান গাই।” নেহরুর লেখা একটি বাক্য গানটি লিখতে প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল। এ তথ্য স্মরণ করে এই শিল্পী বলেন, “একটা জিনিস আমায় এই গানটা লিখতে সাহায্য করেছিল। নেহরুর কোনো লেখায় পড়েছিলাম, হি ড্রেমট ইন ইংলিশ। এই কথাটা আমাকে তাড়িত করেছিল। স্পোকের বদলে বলা হচ্ছে ‘ড্রেমট’। ওই একটা সুতো পেলাম, যেটা থেকে জন্ম নেয়, ‘আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন’। সবকিছুই বাংলায় করি, এইভাবেই গানটা এগিয়ে যায়। ওই লাইনটা না পড়লে হয়ত গানটা এভাবে হতো না। লাইনটা এই গানের ক্ষেত্রে, বলতে পারি বেশ উৎকৃষ্ট সারের কাজ করেছিল।” গানটি শুনে ভারতীয় রাজনীতিবিদ উদয়ন গুহ প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন।

তা স্মরণ করে এই গায়ক বলেন, “পরে উদয়ন গুহ চিঠি লিখেছিলেন এই গান শুনে। লিখেছিলেন, ‘আপনি আমাদের শিখিয়েছেন বিভক্তির শক্তি। বাংলায় গান গাই, বাংলার গান গাই, বাংলাকে ভালোবাসি- বিভক্তির ক্ষমতা এখানে প্রকাশ পাচ্ছে।’ খুব ভালো লেগেছিল সেই কথা। এই হচ্ছে বাংলায় গান গাই গানের জন্মকথা।”

Please Share This Post in Your Social Media

যেভাবে সৃষ্টি হলো কালজয়ী ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ০২:৪৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গত শনিবার পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার রচিত ও গাওয়া বেশ কিছু গান মানুষের ঠোঁটে ঘুরেফিরে। এর মধ্যে প্রধান ‘আমি বাংলায় গান গাই’। মনের অজান্তে এ গান কণ্ঠে তুললেও, অনেকেই এর জন্মকথা জানেন না।

চলুন জেন নিই কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল গানটি। প্রতুল মুখোপাধ্যায় জীবদ্দশায় গানটি রচনার পেছনের গল্প জানিয়েছিলেন। স্মৃতির ঝাঁপি খুলে এই শিল্পী বলেন, “১৪০০ সালের পয়লা বৈশাখকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। কফি হাউজের একটা অনুষ্ঠানে আমার গাওয়ার কথা ছিল। তো আমি অফিসের কাজ নিয়েই বসেছিলাম। একটা রিপোর্ট লিখতে হচ্ছিল। সেটা করতে করতেই মাথার মধ্যে গানের বিষয়টিও চলছিল। একটা জায়গায় কথাগুলো লিখছিলাম। অনেকটা সেই রামপ্রসাদের মতো আর কী!

প্রথম লাইনটা এলো, ‘আমি বাংলায় গান গাই, বাংলার গান গাই।” নেহরুর লেখা একটি বাক্য গানটি লিখতে প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল। এ তথ্য স্মরণ করে এই শিল্পী বলেন, “একটা জিনিস আমায় এই গানটা লিখতে সাহায্য করেছিল। নেহরুর কোনো লেখায় পড়েছিলাম, হি ড্রেমট ইন ইংলিশ। এই কথাটা আমাকে তাড়িত করেছিল। স্পোকের বদলে বলা হচ্ছে ‘ড্রেমট’। ওই একটা সুতো পেলাম, যেটা থেকে জন্ম নেয়, ‘আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন’। সবকিছুই বাংলায় করি, এইভাবেই গানটা এগিয়ে যায়। ওই লাইনটা না পড়লে হয়ত গানটা এভাবে হতো না। লাইনটা এই গানের ক্ষেত্রে, বলতে পারি বেশ উৎকৃষ্ট সারের কাজ করেছিল।” গানটি শুনে ভারতীয় রাজনীতিবিদ উদয়ন গুহ প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন।

তা স্মরণ করে এই গায়ক বলেন, “পরে উদয়ন গুহ চিঠি লিখেছিলেন এই গান শুনে। লিখেছিলেন, ‘আপনি আমাদের শিখিয়েছেন বিভক্তির শক্তি। বাংলায় গান গাই, বাংলার গান গাই, বাংলাকে ভালোবাসি- বিভক্তির ক্ষমতা এখানে প্রকাশ পাচ্ছে।’ খুব ভালো লেগেছিল সেই কথা। এই হচ্ছে বাংলায় গান গাই গানের জন্মকথা।”