ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে সড়কে রক্তের ফোঁটা, রহস্যের খোঁজে পুলিশ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১২৭ Time View

সংগৃহীত ছবি।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ভুট্টাক্ষেত থেকে রক্তমাখা লাঠি-দড়ি, বোতলভর্তি পেট্রল, মুঠোফোনসহ সিম উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ বলছে, আলামত দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আজ শনিবার উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর ফুল ডাঙ্গা মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাটলা ইউনিয়নের খিয়ার মামুদপুর পাঠান চড়া (ফুলডাঙ্গা) এলাকায় আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতের অদূরে কাজ করতে যান স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। তারা সেখানে বেশ কিছু ভুট্টার গাছ ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে কাছে গিয়ে রক্তমাখা বাঁশের লাঠি, সিমসহ একটি মুঠোফোন দেখতে পান। এ ছাড়া পাশেই রক্তমাখা একটি দড়ি ও দুই বোতল পেট্রল উদ্ধার করা হয়।

পরে আধাকিলোমিটার পাকা সড়কের ওপর রক্তের ফোঁটা দেখতে পায় এলাকাবাসী।

বিষয়টি এলাকাবাসী থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলামতগুলো জব্দ করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বাঁশের লাঠি, ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকা রক্তের নমুনা, একটি বোতাম, সিমসহ মুঠোফোন এবং পাকা সড়কের পাশ থেকে রক্তমাখা নাইলনের দড়ি জব্দ করেছে।

আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি মাঠে নাকি মানুষ মারে (মেরে) ফেলাইছে।

নাতিকে নিয়ে আসে (এসে ) দেখি রক্তমাখা লাঠি, আর দড়ি দেখে মনে হচ্ছে কাকবা (কাউকে) মেরে লাশ গুম করা হয়েছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলের কাছে পূর্ব-দক্ষিণ মাধুপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে একটি ইসলামী মাহফিল হয়। মাহফিল চলাকালে দক্ষিণ মাধুপুর নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় মুঠোফোনে ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন গভীর রাতে ভুট্টাক্ষেতে হত্যাকাণ্ডের পরে লাশ গুম করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, গ্রামবাসীদের দেওয়া তথ্যে ভুট্টাক্ষেত থেকে রক্তমাখা লাঠি ও পাশের পাকা সড়কে রক্তমাখা দড়ি, সিমসহ মুঠোফোন, দুই বোতল পেট্রলসহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

সংগৃহীত আলামত দেখে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Please Share This Post in Your Social Media

দিনাজপুরে সড়কে রক্তের ফোঁটা, রহস্যের খোঁজে পুলিশ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ভুট্টাক্ষেত থেকে রক্তমাখা লাঠি-দড়ি, বোতলভর্তি পেট্রল, মুঠোফোনসহ সিম উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ বলছে, আলামত দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আজ শনিবার উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর ফুল ডাঙ্গা মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাটলা ইউনিয়নের খিয়ার মামুদপুর পাঠান চড়া (ফুলডাঙ্গা) এলাকায় আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতের অদূরে কাজ করতে যান স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। তারা সেখানে বেশ কিছু ভুট্টার গাছ ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে কাছে গিয়ে রক্তমাখা বাঁশের লাঠি, সিমসহ একটি মুঠোফোন দেখতে পান। এ ছাড়া পাশেই রক্তমাখা একটি দড়ি ও দুই বোতল পেট্রল উদ্ধার করা হয়।

পরে আধাকিলোমিটার পাকা সড়কের ওপর রক্তের ফোঁটা দেখতে পায় এলাকাবাসী।

বিষয়টি এলাকাবাসী থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলামতগুলো জব্দ করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বাঁশের লাঠি, ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকা রক্তের নমুনা, একটি বোতাম, সিমসহ মুঠোফোন এবং পাকা সড়কের পাশ থেকে রক্তমাখা নাইলনের দড়ি জব্দ করেছে।

আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি মাঠে নাকি মানুষ মারে (মেরে) ফেলাইছে।

নাতিকে নিয়ে আসে (এসে ) দেখি রক্তমাখা লাঠি, আর দড়ি দেখে মনে হচ্ছে কাকবা (কাউকে) মেরে লাশ গুম করা হয়েছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলের কাছে পূর্ব-দক্ষিণ মাধুপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে একটি ইসলামী মাহফিল হয়। মাহফিল চলাকালে দক্ষিণ মাধুপুর নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় মুঠোফোনে ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন গভীর রাতে ভুট্টাক্ষেতে হত্যাকাণ্ডের পরে লাশ গুম করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, গ্রামবাসীদের দেওয়া তথ্যে ভুট্টাক্ষেত থেকে রক্তমাখা লাঠি ও পাশের পাকা সড়কে রক্তমাখা দড়ি, সিমসহ মুঠোফোন, দুই বোতল পেট্রলসহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

সংগৃহীত আলামত দেখে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।