ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে কুবিতে মানববন্ধন 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফল ব্যবসায়ী হত্যায় তিনজনের ফাঁসির রায়

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ফল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও আসামীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমী এই রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর শিবপুরের কবির মিয়া ছেলে কাজল মিয়া (৪৯), একই উপজেলার বাহেরচরের আব্দুল খালেকের ছেলে রিপন মিয়া (৩২) ও নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০)। আদালতে রায়ের সময় রিপন মিয়া ও কাজল মিয়া উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন রাসেল মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ফল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি একদিন আগ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সাইদুর রহমান উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভগ্নিপতি লোকমান মিয়া বাদি হয়ে একই বছর অক্টোবরের ১ তারিখে রাসেল মিয়াকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে রাসেল মিয়া পলাতক রয়েছেন। মামলার তদন্তে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাজল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কাজল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। কাজল মিয়া, রিপন মিয়া ও রাসেল মিয়া হত্যার জড়িত থাকার কথা উল্লেখ্য করে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত সাক্ষি, যুক্তিতর্ক সহ সকল কার্যক্রম শেষে তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন সামী রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. আজাদ মিয়া আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফল ব্যবসায়ী হত্যায় তিনজনের ফাঁসির রায়

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ফল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও আসামীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমী এই রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর শিবপুরের কবির মিয়া ছেলে কাজল মিয়া (৪৯), একই উপজেলার বাহেরচরের আব্দুল খালেকের ছেলে রিপন মিয়া (৩২) ও নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০)। আদালতে রায়ের সময় রিপন মিয়া ও কাজল মিয়া উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন রাসেল মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ফল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি একদিন আগ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সাইদুর রহমান উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভগ্নিপতি লোকমান মিয়া বাদি হয়ে একই বছর অক্টোবরের ১ তারিখে রাসেল মিয়াকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে রাসেল মিয়া পলাতক রয়েছেন। মামলার তদন্তে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাজল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কাজল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। কাজল মিয়া, রিপন মিয়া ও রাসেল মিয়া হত্যার জড়িত থাকার কথা উল্লেখ্য করে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত সাক্ষি, যুক্তিতর্ক সহ সকল কার্যক্রম শেষে তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন সামী রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. আজাদ মিয়া আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।